ভারতের জাতীয় কংগ্রেস মণিপুরে সরকার গঠনের দাবি জানাল
মণিপুরে বিজেপি’র কাছে সরকার ধরে রাখার মত বিধায়ক নেই , গতরাতে তিনজন বিধায়ক দল ছেড়ে কংগ্রেসে গেছেন। শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টি’র চার বিধায়ক সমর্থন তুলে নিয়েছেন। নির্দল এক বিধায়ক, তৃণমুল কংগ্রেস বিধায়ক কংগ্রেসের পাশে অবস্থান নিয়েছে।
ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এখন সরকার গঠনের দাবি পেশ করেছে। রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকতে।
কংগ্রেসের বার জন বিধায়ক, এবং অন্যদলের কয়েকজন মণিপুরের অধ্যক্ষকে সরিয়ে দেয়ার দাবিও জানিয়েছে।
“ রাজ্যপালের কাছে আমরা দাবি করেছি , তিনি যেন বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে এন বীরেন্দ্র সিং’র নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার ব্যবস্থা করে দেন,” বলেছেন কংগ্রেস নেতা চালতন আমো।
কংগ্রেস এবং অন্যদলের নেতারা রাজ্যপাল নাজমা হেপতুল্লা’র সাথে দেখা করেছেন আজ।
ওকরাম আইবোবি সিং-কে মুখ্যমন্ত্রী করে মন্ত্রীসভা গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। কংগ্রেসের সাথে অন্যান্য বিধায়ক মিলিয়ে যা সংখ্যা দাঁড়ায়, তাতে সরকার গঠন করা যাবে। ইবোবি সিং আগে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
রাজ্যপালকে দেয়া সরকার গঠনের দাবি জানানো চিঠিতে সই করেছেন তিনিই। চিঠিতে বলা হয়েছে, কংগ্রেস সম মনস্কদের নিয়ে ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার গড়বে।
আবার বিধানসভার অধ্যক্ষকে পদ থেকে সরিয়ে দিতে কে মেঘচন্দ্র ও আরও এগারো জন বিধায়ক , বিধানসভা সচিবকে চিঠি ধরিয়েছেন।
কংগ্রেস নেতা এন ভুপেন্দ্র মেইতেই বলেছেন, সচিবকে দেয়া এই নোটিশ কংগ্রেসের সরকার গড়ার বিষয়টিকে শক্তি জোগাবে।
বিজেপি’র মণিপুর ইন-চার্জ প্রহ্লাদ সিং বলেছেন, যারা দল ছেড়ে গেছেন, কারও বিরুদ্ধেই এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দল পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।
উপমুখ্যমন্ত্রী ওয়াই জয়কুমারের নেতৃত্বে আরও দুইমন্ত্রীসহ এক বিধায়ক সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছে। তারা এনপিপি’র।
এনপিপি জাতীয় দলের মর্যাদা পেয়েছে। তবে উত্তরপূর্বাঞ্চলেই তাদের মূল শক্তি । নেতৃত্বে আছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কারনার্ড সাংগা।
২০১৭ সালে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ষাট আসনের মণিপুর বিধানসভায় ২৮ আসন জিতে একক সংখ্যা গরিষ্ঠ হয়েছিল। বিজেপি পেয়েছিল ২১ আসন, কিন্তু কংগ্রেসের সাতজনের সমর্থন , এবং এনপিপি, তৃণমূল কংগ্রেস, নাগা পিপলস পার্টি-র বিধায়কদের সমর্থন নিয়ে সরকার করে ফেলে। একজন নির্দলও তাদের সাথে জুটে যান।
সাতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল কংগ্রেস । বিধানসভার অধ্যক্ষকে কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে।
অধ্যক্ষ এখনও তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি । একজন কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেম, তার বিধায়ক পদ খারিজ করে দিয়েছেন অধ্যক্ষ।
এখন মণিপুরে ৫৯ বিধায়ক আছেন।
শুক্রবারে মণিপুর থেকে রাজ্যসভার একমাত্র সাংসদ নির্বাচন।