নয়াদিল্লি, ২৭ জুনঃ
কর্ণাটক হাইকোর্টের এক বিচারপতিকে বিদ্বেষমূলক মনোভাব ছেড়ে দিতে এবং এইরকম মনোভাব যেন বিচারে প্রভাব না ফেলে, তা বলার জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং মহিলা বিচারপতিদের কাছে খোলা চিঠি রেখেছেন এক আইনজীবী।
কর্ণাটক হাইকোর্টের এক বিচারপতি এস দীক্ষিত একটি ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে আগাম জামিন দিতে গিয়ে নির্দেশে অভিযোগকারী বিষয়ে নানা মন্তব্য করেছেন। তার মধ্যে নির্যাতিতার ব্যবহার, ভারতীয় নারী হিসেবে বেমানান, ইত্যাদি বলেছেন। অভিযোগকারী বলেছিলেন, তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, সেখানে বিচারপতি বলেছেন, কেউ তাকে ধরে নিয়ে গেলে ভারতীয় নারী এমন করে না।
আইনজীবী অপর্ণা ভাট চিঠিতে বলেছেন, ধর্ষণের শিকার যারা, তাদের সাহায্য করার জন্য তার ওপর দায়িত্ব ছিল একসময়। ২০০৫ থেকে ২০১১ পর্যন্ত তিনি সেই কাজ করার সময় দেখেছেন যে ধর্ষণের শিকার হলে, পুলিশ, ডাক্তার, আধিকারিক, এমনকী বিচারপতিরাও নানাভাবে বাধা দেন।
কোনও মহিলার যদি পরিচিত কোনও পুরুষ ধর্ষণে অভিযুক্ত হন, তবে সেইক্ষেত্রে সামান্যই উপযুক্ত সাড়া পাওয়া যায়। তবে তিনি এও বলেছেন, এমন অনেক বিচারকও আছেন, যারা খুবই সংবেদনশীল এবং জেরায় যেন কোনওরকম চরিত্র হনন না হয়, তা নিশ্চিত করে থাকেন। ভাট বলেছেন,তিনি চিঠিটি লিখতে বাধ্য হয়েছেন, একজন হাইকোর্টের বিচারপতি যেভাবে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে আগাম জামিন দিতে গিয়ে বিষয়টিকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যে পরিণত করেছেন, সেটা খুবই বেদনাদায়ক।