নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলনে গিয়ে আহত হয়েছেন একজন মহিলা। আগরতলার সিটি সেন্টারের সামনে সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির ডাকে প্রতিবাদ কর্মসূচী ছিল। লকডাউনেও ত্রিপুরায় বাড়ছে নারী নির্যাতন, অভিযোগ।
সংগঠনের নেত্রী ঝর্ণা দাস, ত্রিপুরার রাজ্যসভার সাংসদও, বলেছেন, মাত্র পনের মিনিটের কর্মসূচী ছিল তাদের। মুখে মাস্ক, এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ব্যানার, পোস্টার নিয়ে তারা ধর্নায় ছিলেন। পুলিশ তাদের জোর করে গাড়িতে তুলতে চেষ্টা করে। সংগঠনের লিপিকা দাস আহত হন। তার পায়ে লেগেছে। ঘটনা জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। খুব তাড়াতাড়ি গোটা বিষয় নিয়ে তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। আরেক নেত্রী রমা দাস বলেছেন, পুলিশ যা করেছে, তার কোনও প্রয়োজন ছিল না। পুলিশের সঙ্গে তাদের কোনও সমস্যা নেই। পুলিশ মাইকে বললেই, তারা গ্রেফতার হয়ে গাড়িতে উঠতেন। তা না করে, টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে তুলতে চেষ্টা করা হয়েছে। লিপিকা দাসকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন তারা। পুলিশের সঙ্গে মহিলাদের ধস্তাধস্তির সময় সেখানে পৌঁছান প্রাক্তনমন্ত্রী এবং সিপিআইএম নেতা মানিক দে। ছিলেন সিপিআইএম পশ্চিম জেলা কমিটির সম্পাদক পবিত্র করও। তারাও পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান। মহিলাদের টানা-হেঁচড়া নিয়ে তারা প্রতিবাদ করেন। ঘটনাস্থলে ছিলেন এসডিপিও অনির্বাণ দাসও।