শুক্রবার রাতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আন্ডারগ্রাউন্ড বাংকারে ঘন্টা খানেক কাটাতে হয়েছে। হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে মানুষ জড়ো হতে শুরু করলে, তাকে বাংকারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল।
আমেরিকার সংবাদ মাধ্যম এই খবর করেছে আজ। সিবিএস, সিএনএন ররেছে তার মধ্যে।
সিএনএন লিখেছে, হোয়াইট হাউজের এক কর্মকতা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর এক সূত্রে এই খবর জানা গেছে। ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প এবং তাদের ছেলে ব্যারনকেও বাংকারে নেয়া হয়েছিল। প্রোটোকল অনুযায়ী যদি প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে আনা হয়, তবে একই নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা বাকীদেরও সরিয়ে আনতে হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ঘন্টার চেয়ে একটু কম সময় ছিলেন সেখানে। সিএনএনকে আরেকটি সূত্র বলেছে, হোয়াইট হাউজের যদি অবস্থা ‘রেড’ হয়ে পড়ে, তবে প্রেসিডেন্টকে ইমারজেন্সি অপারেসন সেন্টারে সরিয়ে দেয়া হয়, ফার্স্ট ফ্যামিলির সবাইকেই নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে।
রবিবার শেষ রাতে হোয়াইট হাউজ কর্মীদের ই-মেলে বলে দিয়েছে, সোমবারে তারা যেন কোনও সিক্রেট সার্ভিস এন্ট্রি পয়েন্টে না আসা পর্যন্ত নিজেদের পাস লুকিয়ে রাখেন।ফিরে যাওয়ার সময়েও তাই করতে হবে।সেই ই-মেলেই বলা হয়েছে বিক্ষোভের ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়া করা হচ্ছে। ই-মেলটি সিএনএন দেখেছে।
আমেরিকায় গত সপ্তাহে পুলিশ একজনকে ঘাড়ে চেপে বসে মেরে ফেলেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনি শ্বাস ফেলতে পারছেন না বলে বার বার বলে যাচ্ছেন। পুলিশ তাও তার ঘাড়ে চেপে আছে। জর্জ ফ্লয়েড নামে ওই মানুষটি মারা যান। আমেরিকা জুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে। যেখানে সেই ঘটনা হয়েছে, সেই এলাকায় স্বাভাবিক জীবন প্রায় থেমে গিয়েছিল। এমনকী প্রতিবাদের ধাক্কায় এক সাংবাদিককেও গ্রেফতার করা হয়েছিল, যদিও কিচ্ছুক্ষণের মধ্যেই তাকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। আমেরিকায় দীর্ঘদিন ‘কালো’ মানুষদের অধিকার বিশেষ ছিল না। বর্ণ বিদ্বেষমূলক সেই মনোভাব এখনও সমাজের কোথাও কোথাও রয়ে গেছে বলে অভিযোগ।