সিপাহীজলার নলছড়ে চৌমোহনী পঞ্চায়েতে এগারো আসন। সবগুলিই বিজেপির দখলে। পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছিল। শনিবারে এই নিয়ে ভোটাভুটি হয়েছে নলছড় ব্লক অফিসে। ভোটের ফলাফল বের হয়নি।
সিপাহীজলার শাসক সি কে জমাতিয়া বলেছেন, পুরো প্রক্রিয়াতে কী হয়েছে, সেটা পঞ্চায়েত দফতরে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে, তারপর সেখান থেকে অনুমোদিত হয়ে ফলাফল জানা যাবে, আগামীকাল অথবা পরশু।
জেলাস্তর থেকে সিনিয়র ডিসি অনির্বান দাস ছিলেন শনিবারের প্রক্রিয়াতে উপস্থিত। তিনি বলেছেন, আবার সদস্যরা আগামীকাল জেলা পঞ্চায়েত আধিকারিকের সাথে দেখা করে চূড়ান্ত মতামত দেবেন। তারা সময় চেয়েছেন।
ভোটের সময়ের পর আবার এরকম সময় চেয়ে মতামত দেবার কথা শোনা যায় না।
পঞ্চায়েতটির প্রধান নিত্যরঞ্জন দাস। তার বিরুদ্ধেই অনাস্থা। অনাস্থা প্রস্তাব তোলা এবং তার পরবর্তী সময়ে ( ভোটের সময় নয়, সেই ফল প্রকাশিত হয়নি এখনও) অনাস্থা পক্ষেই সমর্থন বেশি ছিল বলে একটি সূত্র দাবি করেছে, অন্তত ছয়/সাতজন নাকি অনাস্থার পক্ষেই ছিলেন।
পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার বামুটিয়া পঞ্চায়েত সমিতিতেও চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছিল। চেয়ারপার্সন হেরে যান, অনাস্থা প্রস্তাব টিঁকে যায়। তারপর সংশ্লিষ্ট বিজেপি মন্ডল সভাপতিকে বিজেপি’র ত্রিপুরা রাজ্যের সভাপতি শো-কজ করেছেন।