বিজেপি’র নেতৃত্বে থাকা মণিপুর সরকারের তিন বিধায়ক দল ছেড়ে কংগ্রেসে গেছেন। আরও ছয় বিধায়ক সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন্দ্র সিং’র মন্ত্রীসভা বিপদে পড়ে গেছে। উপমুখ্যমন্ত্রীই সরকারকে ছেড়ে গেছেন।
ভারতীয় জনতা পার্টি সাধারণ পাটিগণিতের হিসাবে মনিপুর বিধানসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়ল এই দলত্যাগ এবং সমর্থন ফিরিয়ে নেয়ার পর। উপমুখ্যমন্ত্রী ওয়াই জয়কুমার, দুই মন্ত্রী এবং একজন বিধায়ক, তারা মণিপুরে বিজেপি শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সদস্য, তৃণমূল কংগ্রেস’র একমাত্র বিধায়ক, ও একজন নির্দল বিধায়ক সরকারকে আর সমর্থন করছেন না।
বিজেপি ছেড়ে তিনজন কংগ্রেসে যাওয়ায় বিজেপি’র একার বিধায়ক সংখ্যা এখন ৬০ আসনের মণিপুর বিধানসভায় ১৮ জনে নেমে এসেছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি সিং দাবি করেছেন এখন কংগ্রেসের সাথে আছেন ২৭ জন বিধায়ক।
২০১৭ সালে মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হয়, ২৮ আসন জিতেছিল। বিজেপি পেয়েছিল ২১ আসন। কংগ্রেস থেকে রাতারাতি বিধায়ক ভাঙিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার গঠিত হয়। মণিপুর হাইকোর্ট ৮ জুন নির্দেশ দিয়েছে, যে সাতজন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন, তারা যেন অধ্যক্ষের ট্রাইবুনালে তাদের বিধায়ক পদ খারিজের বিষয়টি শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বিধানসভায় না আসেন।
ষাট আসনের বিধান সভায় ৩১ আসন করতে বিজেপি’র দরকার ছিল ১০ জন বিধায়ক। কংগ্রেস থেকে সাতজনের সমর্থন জোগার হয়। তাছাড়া ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ( এনপিপি) এবং নাগা পিপলস পার্টি বিজেপিকে সমর্থন দিয়েছিল।
মণিপুর বিধানসভায় এখন ৫৯ জন বিধায়ক আছেন। একজন কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যাওয়ায় তার বিধায়ক পদ খারিজ হয়েছে।