চব্বিশঘন্টা পর ত্রিপুরায় প্রথম কোভিডে মৃত ব্যাক্তির দেহ শ্মশানে নেয়া হল। আগরতলার বটতলা শ্মশানে শেষকৃত্য হচ্ছে।
গতকাল বিকাল তিনটায় মারা যান তিনি ( নাম,ঠিকানা জানা আছে, তা লেখা অনৈতিক বোধ হওয়ায় , দেয়া হচ্ছে না) । শ্মশানে আনার আগে গতরাতে মানুষ জড়ো হয়ে ঘোষণা দিয়ে দেন, এখানে কোভিড আক্রান্তের দাহ চলবে না। এই শ্মশানে দাহ হলে নাকি এলাকাবাসী মারা পড়বেন। এসব কথা বলে রাস্তাও আটকে দেয়া হয়।
শ্মশানের অফিসের দায়িত্বে থাকা নিগম কর্মচারী সাংবাদিকদের রাতে বলেন, এখন আর সেই দেহ আসবে না।
কয়েকদিন আগে একজন রোগী হাসপাতালে আত্মহত্যা করেছিলেন, পরে দেখা যায় তিনি কোভিড পজিটিভ। তার শেষকৃত্য নিয়েও ঝামেলা হয়। আগরতলার একটি কবরস্থানে তাকে গোড় দিতে দেয়া হয়নি। হয়নি মানে, হয়ইনি, দেহ নিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে।
জিবিপি হাসপাতালে কোভিড রোগীর মৃত্যু হলে, আগরতলায়ই শেষকৃত্যের ব্যবস্থা হওয়ার কথা, সেইমতই হচ্ছে। আপত্তি আসছে এলাকার লোকজনের।
পরিস্থিতি ঘোলাটে হবার পর দুই বিধায়ককে নিয়ে আজ মহকুমা শাসক বসে ছিলেন আলোচনায়। বোঝানো হয়েছে, দেহ সৎকার থেকে বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাছাড়াও সেনিটাইজ করা হবে পুরো শ্মশান এলাকা। কাজও হয়েছে। চব্বিশঘন্টা পরে সৎকার করতে পারছে প্রশাসন।