বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠন, এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই। গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারও। সেই শিবির আক্রান্ত হয়। আয়োজক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আক্রমণ শাসক বিজেপি আশ্রিতরা করেছে বলে অভিযোগ। থানায় মামলাও হয়েছে। দুপুরের এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বের হয়।
বিকালে রামনগর এলাকার এক বিজেপি নেত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, তিনি ইস্কুলের সামনে ‘জন সমাবেশ’ দেখে সেখানে ঢুকেছিলেন, লকডাউনের সময়ে ‘ এত লোক সমাগম’ কেন জিজ্ঞেস করলে তাকে, ছয় জনের নাম দিয়ে লিখেছেন, তারা অশ্লীলভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। তারপর দুইজনের নাম নিয়ে লিখেছেন, তারা বদ উদ্দেশ্যে হাত ধরেছেন এবং শাড়ি ধরে টেনেছেন। তিনজনের নাম নিয়ে লিখেছেন, তারা তার গলা টিপে ধরেছেন মেরে ফেলার জন্য। দুই জনের নাম দিয়ে লিখেছেন, তারা গলার সোনার চেন ছিনিয়ে নিয়েছেন।তার চিৎকার শুনে এলাকার মানুষ আসায়, কোনওরকমে প্রাণে বেঁচেছেন। তিনি আটজনের নাম আসামী হিসেবে লিখেছেন, আর বর্ণনায় যতজনের নাম উল্লেখ করেছেন, সেই হিসাবে নয়জনের নামে সরাসরি অভিযোগ এনেছেন। সাথে আরও দশ/বার জন ছিলেন বলে লিখিত বিবরণে উল্লেখ করেছেন। তিনি সেই ইস্কুলটির এসএমসি কমিটির সদস্য বলে তার দাবি।
থানার সামনেই সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেছেন, লকডাউনের সময় এত লোক কী, এই বলার অপরাধে থাকে মারপিট করা হয়েছে। হাতে ধরা,পেটে লাথি, চেন নিয়ে যাওয়া, কাপড়ে ধরা, ইত্যাদি বলেছেন। অভিযুক্ত হিসেবে দুই জনের নাম বলেছেন,এবং জানিয়েছেন, আরও অনেকে ছিলেন, মাস্কে মুখ ঢাকা বলে তিনি অন্যদের নাম বলতে পারছেন না। তার ফোন পেয়ে তার ভাই, বুথ প্রেসিডেন্ট সেখানে গিয়েছিলেন।
বিজেপি’র এই নেত্রীর একটি ভিডিও বিজেপি ত্রিপুরা ফেসবুক একাউন্টে দেয়া হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, ইস্কুলের সামনে লোক দেখে, তিনি ভেতরে গিয়ে জানতে চান কী হচ্ছে। রক্তদান শিবির হচ্ছে তাকে বলা হয়। তিনি সেখানে মিটিং চলছে বলেও বলেছেন। তিনি জানতে চান, লকডাউনের সময়ে রক্তদান শিবির কী করে করা হচ্ছে। তখন তাকে মেরে মাটিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। অশ্রাব্য গালিগালাজ করা হয়েছে। সেখানে তিনি তিনজনের নাম বলেছেন।
সাংবাদিকদের ক্যামেরায় দুটি নাম এবং দলীয় ক্যামেরায় তিনটি নাম বলেছেন অভিযুক্ত হিসেবে। সাংবাদিকদের কাছে বলা দ্বিতীয় নামটি এবং দলীয় ক্যামেরায়ও বলা দ্বিতীয় নামটি(একই নাম) পুলিশের কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে নেই।
সিপিআই(এম) এটি সাজানো মামলা বলেছে।