তারপর

৯ জুন ধরতি আবা বিরসা মুন্ডা’র শহিদান দিবস

By thepongkor

June 09, 2020

ধরতি  আবা  বিরসা মুন্ডা রাঁচির বৃটিশ জেলে ৯ জুন মারা গিয়েছিলেন, ১৯০০ সালে।

তার মৃত্যুর পরেই বৃটিশ রাজও বাধ্য হয়েছিল ছোটোনাগপুর টেনান্সি অ্যাক্ট পাস করতে, তাতে উপজাতিদের জমি অনুপজাতিদের হাতে যাওয়া নিষিদ্ধ হয়েছিল।

 

বিরসা মুন্ডা এখনকার ঝাড়খন্ডে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। বৃটিশরাজকে সাহায্য করা ধর্ম যাজকদের বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলেছিলেন। তিনি নিজে একসময় খৃষ্ট ধর্মে দীক্ষা নিয়েছিলেন, পরে দেখেন যে তাতে নিজেদের সংস্কৃতির ক্ষতি হচ্ছে। সেই ধর্ম দীক্ষায় শুধু যীশুখৃষ্টের নাম প্রচার নয়, বৃটিশরাজকে পরোক্ষে সাহায্য করার বিষয় ছিল।

উপজাতিদের নিজেদের জমি বেহাত হয়ে যাচ্ছিল।

একদিকে কৃষি নিয়ে নিজেদের অধিকার হারানো, একদিকে সাংস্কৃতিক ক্ষতি, এই দুই ধরনের আক্রমণের বিরুদ্ধেই বিরসা নেমেছিলেন আন্দোলনে।

তিনি নিজেকে নতুন ধর্ম অবতার বলেও ঘোষণা করেছিলেন, সেই সহজ ভাষার ধর্মে লোকজন আকর্ষণ বোধ করতে শুরু করেন। সেটাও প্রতিষ্ঠিত ধর্ম পুরোহিতদের কাছে চ্যালেঞ্জ মনে হয়েছিল।

 

বিরসা ধর্ম নিয়ে পড়ে থাকেননি। নিজেকে অবতার বললেও, তার মূল বিষয়টি অধিকার আদায়ের লড়াই। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ভিক্টোরিয়ার রাজত্ব শেষ , আমাদের রাজত্ব শুরু।

বিরসা মুন্ডা যখন মারা যান, তখন তার বয়স মাত্রই পঁচিশ চলছে।

 

ত্রিপুরা  ঝারখন্ডী সমাজ উন্নয়ন সমিতি এবং ত্রিপুরা চা মজদুর সংগ্রাম পরিষদ   মোহনপুর মহকুমার ব্রহ্মকুণ্ড পঞ্চায়েতের লতামিয়া মাঠে শহিদান দিবস পালন করেছে।