প্ৰথম খবর

আবারও!

By thepongkor

July 10, 2020

অনলাইন ক্লাশের জন্য স্মার্ট ফোন চাই। বাবাকে বলেছিলেন কিশোরী একটি স্মার্ট ফোন কিনে দিতে। করোনা কালের লকডাউন, ইত্যাদিতে বাবার রোজগার কমেছে। এখনই স্মার্ট ফোন কেনা সম্ভব হচ্ছিল না তার। অভিমানে আত্মঘাতী হল কিশোরী।

ত্রিপুরার সোনামুড়া মহকুমার ঠাকুরমুড়া এলাকায় গতকালের। কিছুদিনের মধ্যে স্মার্ট ফোনের কারণে এটি দ্বিতীয় আত্মহত্যার অভিযোগ ত্রিপুরায়।

আট ক্লাস পড়ুয়া মেয়েটি।

সোনামুড়া থানার ওসি পার্থ নাথ ভৌমিক বলেছেন, মোবাইলের কারনেই এই আত্মহত্যা।

কিছুদিন ধরেই সে বাবার কাছে বায়না করছিলেন একটি স্মার্ট ফোনের জন্য, তার ক্লাসের জন্য। গতকাল এ নিয়ে বাড়িতে একটু কথা কাটাকাটি হয়। পরে বাবা কাজে বেরিয়ে যান। মা ঘরে ছিলেন না। ঘরে একা ছিলেন অর্পিতা। গায়ের ওড়না গলায় বেঁধে ঝুলে পড়ে সিলিং’এর সঙ্গে, বলেছেন পড়শিরা। বিকাল নাগাদ মা-বাবা ঘরে ফিরে দেখেন মেয়ের নিথর দেহ ঝুলছে। খবর দেয়া হয় পুলিশে।

ঘটনার তদন্তকারী মহিলা অফিসার জানিয়েছেন, মেয়েটির মা-বাবা পুলিশকে মোবাইলের বিষয়টিই জানিয়েছেন। গতকালই ময়না তদন্তের পর দেহ তুলে দেয়া হয়েছে পরিবারের হাতে। বাবা পেশায় দিন হাজিরার শ্রমিক। সেই এলাকার বিধায়ক শ্যামল চক্রবর্তীর কাছে বিশদে খবর নেই। তিনি বলেছেন, মোবাইলের ফোনের কারণে একটি মেয়েট আত্মহত্যা করেছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। পুরো ঘটনা তিনি জানার চেষ্টা করছেন।

ত্রিপুরার মধুপুরে এক দিনমজুর বাবা আত্মহত্যা করেছিলেন। তার মৃত্যুর পেছনেও মোবাইল ফোন, অনলাইন ক্লাস, ইত্যাদি ছিল বলে অভিযোগ।