ত্রিপুরার দ্বিতীয় প্রধান হাসপাতাল, আগরতলার আইজিএম হসপিটাল চত্বরে খোলা জায়গায় পিপিই পড়ে আছে, হাসপাতালের সামনে রাস্তায়ও, দুপুরের ঘটনা। হাসপাতালের সুপার ডাঃ অমিতাভ চক্রবর্তী, সাংবাদিকরা এই নিয়ে প্রশ্ন করার আগে তিনি ঘটনাটি জানতেনই না।
হাসপাতালটির ভেতরে, গেটের পাশে একটি ময়লা রাখার পাত্র আছে, তার চারদিকেই এইসব ব্যবহৃত পিপিই কিট ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। ব্যবহৃত সূঁচ,ইত্যাদি অন্যান্য মেডিক্যাল ওয়েস্ট ম্যাটেরিয়ালও ছিল।
আইজিএম হাসপাতালের সামনে দিয়ে রাস্তা চলে গেছে শহরের প্রধান রাস্তার দিকে, গেট কিছুদূর এগিয়েই প্যারাডাইস চৌমোহনী, সেই রাস্তায়ও পড়ে ছিল পিপিই।
বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের চোখে তা পড়লে, তারা হাসপাতাল কতৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডাঃ অমিতাভ চক্রবর্তী বলেছেন, তিনি যখন অফিসে আসেন, তখন তাকে কেউ জানাননি, সাংবাদিকদের কাছেই প্রথম শুনলেন। তিনি সিএমও অফিসে খবর দিয়েছেন।
প্রটোকলে আটকাবে এই কারণে দেখিয়ে এক ডাক্তার নাম উল্লেখ করা যাবে না শর্তে বলেছেন, পিপিই ব্যবহার করা হয় কোভিড সংক্রমণ আটকাতে। যিনি পরবেন, যেমন ডাক্তার, তিনি যেন সংক্রমিত না হন, তার জন্য। পিপিই’র বাইরের দিকে ভাইরাস আটকে থাকতেই পারে, তবে পিপিই খোলার আগে সেগুলি স্যানিটাইজ হওয়ার কথা। পিপিই এভাবে খোলা জায়গায় কোনও পাত্রেই ফেলা যায় না, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে, সেগুলি ডিসপোজ করতে হয়। খোলা জায়গায় ফেললে, তার থেকে সংক্রমণ ছড়াতেই পারে, তাছাড়া রাস্তার কুকুর, ইত্যাদির মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে না, তাও কী করে বলা যায়! মোটকথা, এভাবে ফেলা উচিৎ না।
কিছুদিন আগে বাধারঘাটের একটি স্কুলে এরকম কোভিড টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহের পর ব্যবহৃত মেডিক্যাল ওয়েস্ট পড়ে ছিল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে।
ত্রিপুরায় গতকাল একদিনে একশো বার জন শনাক্ত হয়েছেন কোভিড পজিটিভ হিসেবে।