ত্রিপুরার উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদের সদর দফতর খুমুলুঙে আগুন দেয়া হয়েছে বিজেপির অস্থায়ী অফিসে। আগুন বড় ছড়িয়ে পড়েনি। ঘটনাস্থলে নামানো হয়েছে প্রচুর নিরাপত্তাকর্মী।
বিজেপির এই অস্থায়ী অফিসটি আগামীকাল উদ্বোধন হবার কথা ছিল। শাসক দলের কর্মীরা অফিসটি আজ সাজিয়ে গিয়েছিলেন। তারপরই ঘটে আক্রমণের ঘটনা। ভেতরে রাখা ফ্ল্যাগ ফেস্টুন নষ্ট করা হয় বলে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ।
জিরানীয়ার এসডিপিও সুমন মজুমদার বলেছেন, পুলিশে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। খুমুলুঙের কলেজ চৌমুহনী এলাকায় বিজেপির একটি প্রস্তাবিত অফিস ছিল। অফিস বন্ধ ছিল। ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের খবর দেয়া হয়। তারা এসে শাটারের একটি অংশ কেটে ভেতরের আগুন নেভান।
এ বিষয়ে বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যের সঙ্গে প্লুরাল কলামের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল তার প্রতিক্রিয়া জানতে। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দুষ্কৃতিকারীরা এ ঘটনা সংঘঠিত করেছে। দলের পক্ষ থেকে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হবে। বিজেপির কর্মী সমর্থকদের সংযত থাকতে বলা হয়েছে।
বিরোধী সিপিআই(এম) দলের প্রচুর অফিস আক্রান্ত হয়েছে গত আড়াই বছরে। অনেক অফিসে আগুন দেয়া হয়েছে। মাত্রই কয়েকদিন আগে বিশালগড়ের অফিস দিনের বেলায়ই আক্রান্ত হয় । সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এই ঘটনা।
এই অফিসটি আগেও আক্রমণের মুখে পড়েছে।
সিপিআই(এম) সমর্থকদের বাড়িঘরেও আক্রমণ হচ্ছে।
সিপিআই(এম)’র অভিযোগ শাসক বিজেপি’র দিকে।
আগে একবার সিপিআই(এম)’র এই অভিযোগ নিয়ে বিজেপি’র নেতা অধ্যাপক অলক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, এসব সিপিআই(এম)’র অন্তর্কোন্দলের ফল।
গত সপ্তাহেই টাকারজলায় বিজেপি নেতার গাড়ির ভাঙচুর হয়েছে। বছর দুই আগে বিজেপি বিধায়ক বুর্বমোহন ত্রিপুরা ও করবুক বিজেপি মন্ডল সভাপতি কমল দেওয়ান আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন। দুই ক্ষেত্রেই বিজেপি’র শরিক আইপিএফটি’র দিকে অভিযোগ।
উপজাতি জেলা পরিষযদের নির্বাচন এগিয়ে আসছে, দুই শরিকের ঝামেলার অভিযোগও আসছে।