ত্রিপুরার ধলাইজেলার আমবাসায় শিকারায় এডিসি ভিলেজে ৩০ পরিবারের ১১২ জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপি জনজাতি মোর্চার সহ সভানেত্রী শচিরানী ত্রিপুরা তাদের দলে বরণ করে নিয়েছেন । ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি’র ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সেই ছবি আজ দেয়া হয়েছিল।
সাথে লেখা হয় ,” ধলাই জেলার আমনাসার অর্ন্তগর #Shikaray এডিসি ভিলেজে বিভিন্ন দল ত্যাগ করে ৩০ পরিবারের ১১২ জন ভোটার ভারতীয় জনতা পার্টিতে #যোগদান করেন। বরন করে নেয় বিজেপি জনজাতি মোর্চা প্রদেশ সহ সভানেত্রী শ্রীমতী শচী রানী ত্রিপুরা মহাশয়া। কোর কমিটির সদস্য শ্রী বিমল চাকমা মহাশয় সহ আরো অন্নান্য নেতৃবৃন্দ।“ (এসআইসি)
জুলাইয়ের ১৪ তারিখ সাংবাদ সম্মেলনে ত্রিপুরায় বিজেপি’র সদর দফতরে দলের রাজ্যস্তরের সাধারণ সম্পাদক টিংকু রায় এবং মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য , সাংগঠনিক সিধান্ত জানিয়েছিলেন।
“ এই করোনা ভাইরাস অতিমারি দেরিতে হলেও আমাদের রাজ্যে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। বর্তমানে যে পরিস্থিতি আছে , সেই পরিস্থিতির নিরিখে আমাদের রাজ্য কার্যকরণীর আজ বৈঠক হয়েছে। ….পরবর্তী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের যতগুলি প্রকাশ্য কার্যক্রম আছে, সবগুলি বন্ধ রাখা হবে। তারমধ্যে প্রকাশ্য জনসভা, মিছিল, মিটিং ইত্যাদি সবই বন্ধ থাকবে। যদি বিশেষ প্রয়োজন হয়,তবে কার্যকর্তাদের বৈঠক হবে, তাও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে, সর্বোচ্চ বিশজনকে নিয়ে। ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলার সভাপতিদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। রাজ্যের সমস্ত কার্যকর্তারা যারা আছেন, তাদের কাছে অচিরেই এই বার্তা পৌঁছে যাবে। আমরা আশা করি সেই অনুযায়ীই কাজ হবে,“ নবেন্দু ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন।
টিংকু রায়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, দলীয় সিধান্ত কোনও সভা না করার অথচ সভা হচ্ছে।
“ আমি বিষয়টা জানি না । আমি এখনই খবর নিচ্ছি । আমরা সবাইকেই না করেছি। যদি এমন হয়ে থাকে, তবে ঠিক হয়নি,” বলেছেন তিনি।
তারপর ফেসবুকের ‘বিজেপি ত্রিপুরা’ থেকে সেই পোস্ট তুলে নেয়া হয়েছে। খবর লেখার সময় এখন সেই পেজে প্রথম পোস্ট পূর্ব ত্রিপুরার সাংসদ রেবতী ত্রিপুরার বক্তব্য। এটি সাত ঘন্টা আগে দেয়া।
শিকারাই গ্রামের ছবিটি পাঁচ ঘন্টা ছিল।
‘বিজেপি ত্রিপুরা’ পেজ থেকে সেই পোস্ট তুলে নেয়া হলেও ‘শচি রানী ত্রিপুরা’ নামের ফেসবুক একাউন্টে সেই ছবিগুলির পোস্ট খবর লেখার সময়েও আছে। সেখানে ওই পোস্ট ১৭ জুলাইয়ের।
সেই একাউন্টে আরও অনেক ‘পাব্লিক’ পোস্ট আছে, সেখনে এরকম মিটিং’র ছবি ও বর্ণনা আছে । তার মধ্যে একটি পোস্ট ১৭ জুলাই সন্ধ্যা সাতটা পঁচিশ মিনিটে করা । ছ”টি ছবির প্রথমটি ঘরের বাইরে খোলা জায়গায় মিটিং’র একটি ছবি । সেই ছবিতে অন্তত চল্লিশ জনকে গোণা যায় সহজেই। মাস্ক খুব কম মানুষই পরেছিলেন, ছবিতে এক নজরে তিনজনের মুখে মাস্ক আছে , দ্বিতীয় সারিতে একজন, তৃতীয় সারিতে একজন আর একেবারে পেছন দিকে একজন। শারীরিক দূরত্ব একেবারেই মানা হয়নি, অন্তত ছবিতে দেখা যাচ্ছে।
একই পোস্টে অন্য একটি ছবিতে টেবিল চেয়ারে বসা প্রত্যেকের মুখেও মাস্ক লাগানো ছিল না। পোস
ঘরের ভেতরের মিটিং’র ছবিও আছে, সেখানেই গাদাগাদি করেই বসা মানুষজন, অনেকের মুখেই নেই মাস্ক। সেই পোস্টে লেখা হয়েছে, “ Today attended the booth Chalo , booth oh himdi Abhiyan, In Present’s of Sh. Bimal Kanti Chakma ji( BJP Tripura core committee member) and others local social activist at booth number 30, Chawmanu Dhalai Tripura (sic).”