রাত ঘড়ির কাঁটায় একটা বেজে ছয়ত্রিশ মিনিট, ৩১ জুলাই, ২০২০ তারিখ শুরু গেছে।
ত্রিপুরা স্টেট পোর্টালে ৩০ জুলাইয়ের তথ্য নেই কোভিড ওয়ান নাইন নিয়ে।
ঘড়ির কাঁটায় রাত তিনটা তিপান্ন, বা ভোর চারটে প্রায়, https://covid19.tripura.gov.in/Visitor/ViewStatus.aspxঠিকানায় ক্যাপচা দিয়ে, ৩০ জুলাই যেহেতু নেই তখনও, তাই ২৯ জুলাইয়ের তথ্য খোঁজা, উদ্দেশ্য, আঠাশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা , ঊনত্রিশের মোট সংখ্যা থেকে বাদ দিয়ে সে একদিনে ক’জন নতুন তা বের করা। কারণ সেই সংখ্যা এতদিন যেভাবে পাওয়া যেত, মুখ্যমন্ত্রীর সামাজিক মাধ্যমের ঘোষণা থেকে, তা সেদিনের নেই।
আঠাশ তারিখ দেখা গেল। মোট আক্রান্তের পাশেই দুই/তিন ঘর পরে মৃত্যু সারণী। সেই সংখ্যা এই দু’দিনই ২১। জুলাই মাসের দেড় সপ্তাহ থেকে এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জেলা ভিত্তিক হিসাব দেয়া আছে। ঊনকোটি জেলা মৃত্যুহীন।
ত্রিপুরায় প্রথম কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু পশ্চিম জেলায়। জেলায় জেলায় কবে,কত এই সংখ্যা, সেটি দেখতে গিয়ে ২৭ জুলাইয়ে এসে, সিপাহীজলা জেলায় দেখা গেল, ২৮ জুলাইয়ের তুলনায় মৃত্যু বেশি। একদিন পরে মৃত্যুর সংখ্যা যা, তার থেকে বেশি একদিন আগে, ২৭ তারিখ সিপাহীজলা জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা ২, ২৮ জুলাই এসে সেটাই ১। ২৯ জুলাইও তাই, এবং তারপরের দিনেরটা জানা গেল না, কারণ ৩০ জুলাইয়ের যেহেতু কোনও তথ্য নেই ৩১ জুলাইয়ের ভোরেও। একদিনে বদলে গেল, বা কমে গেল মৃত্যুর সংখ্যা! ২৭ জুলাই পর্যন্ত দু’জন মারা গেলেন,পরদিন সেটাই হয়ে যাচ্ছে এক, ২৮ তারিখ পর্যন্ত সিপাহীজলা জেলায় কোভিড ডেথ , ওয়ান !
সিপাহীজলা জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা এখন পর্যন্ত দুই বলেই জানা গেছে। ২০ জুলাই একজন মহিলা, ২৭ জুলাই একজন চল্লিশ বছরের পুরুষ মারা গেছেন, সংবাদ মাধ্যমে আছে।
ঊনত্রিশ ও আঠাশ জুলাই তারিখে ত্রিপুরায় মোট কোভিড মৃত্যু ২১ জনের। ২৭ তারিখ সেটা ১৭ জন। যেদিন যত দেখানো হচ্ছে জেলা ধরে ধরে, এই সব সংখ্যা যোগ করলে নীচে মোট যা সংখ্যা, তাই, ঠিকই আছে। ত্রিপুরায় ২৯ তারিখ পর্যন্ত কোভিড মৃত্যুর সংখ্যা ২১, সেটা ২৯ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক মাধ্যমে যে ভাষণ রেখেছেন, সেখানে আছে।
২১ মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা সেই দিন পর্যন্ত, তবে ২৭ তারিখ থেকে ২৮ তারিখে এসে এক কমে গেল ত্রিপুরার স্টেট পোর্টালের কোভিড বিষয়ে ‘ডেইলি সিচুয়েসন’ রিপোর্টে , সেই এক ছাড়াই ২১ হচ্ছে পোর্টালে। সিপাহিজলার ‘এক’ এক এক করে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, এই এক ছাড়া ২১ কী করে হয়, সেই ‘এক’ ধরলে কি মোট সংখ্যা বাড়বে!
রাজ্য সরকারের তথ্য প্রযুক্তি ডিরেক্টরেট এই পোর্টাল বানিয়েছে, তাতে যা আছে তা এই ডিরেক্টরেটই দেখভাল করে, প্রকাশ করে। অন্তত তাই লেখা আছে সেই পোর্টালের হোম পেজেই, “Designed, developed and content managed & published by Directorate of Information Technology, Government of Tripura.”
হোম পেজ থেকেই https://covid19.tripura.gov.in/Visitor/ViewStatus.aspx ঠিকানায় পৌঁছা যায়, সেখানে লেখা, Website Designed and Developed By: National Informatics Centre, Tripura State Unit , এবং এই কোভিড ওয়ান নাইন সাইটের হোম পেজে মালিকানায়, © Copyright National Informatics Centre All Rights Reserved
দু’টোই সরকারি সংস্থা । একটা রাজ্যের, একটা কেন্দ্রের।
৩০ জুলাইয়েরটা পাওয়া গেছে, সেখানেও একই থাকছে মৃত্যু সারণী।