সোমাবারে একশ বার জন ত্রিপুরায় কোভিড আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ট্যুইটে তাদের ট্রাভেল হিস্ট্রি নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে তার ট্যুইটে কোনও কোনও দিন উল্লেখ থাকে যে ট্রাভেল হিস্ট্রি আছে সেই সেই দিনে শনাক্ত হওয়া করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের। ট্রেনে, বাসে, এবং প্লেনে মানুষ আসছেন ত্রিপুরায়। প্রথমদিকে যাত্রীদের প্রত্যেকের পরীক্ষা করা হত না। এখন তা হচ্ছে। আক্রান্তদের থেকে আবার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা আছে। আবার ‘নো হিস্ট্রি’ও আছে।
ট্রেন, বিমান, ইত্যাদির যাত্রীদের মধ্যে আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছেন যেমন ঘটনা, তেমনি যাত্রীদের বিমান বন্দর কিংবা রেল স্টেশন থেকে অটোরিকশা অথবা অন্য কোনও গাড়ি করে নিয়ে যাচ্ছেন যে চালক ভাইয়েরা, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষা করার কোনও ব্যবস্থা নেই, ঠিক যেমন যাত্রীদের প্রত্যেকের পরীক্ষা হচ্ছেই। যাত্রীদের থেকে লক্ষণহীন আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছেন। তারা নিজেদের মত করে যার যার জায়গায় ফিরছেন। গাড়ি চালকের সাথে তাদের সংস্পর্শ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে,অন্তত টাকার হাত বদল হয়। পিপিই পরে থাকেন না যেহেতু চালকরা, তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছেই। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সঙ্গীতা চক্রবর্তীর কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি বলেছেন, চালক ভাইদের বলা আছে, সাতদিন বাদে বাদে তারা নিজেদের পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন। জিবিপি হাসপাতালের ফ্লু ক্লিনিকে এমন র্যান্ডম টেস্ট করা যায়। বিভিন্ন পেশার মানুষ তা করাচ্ছেন। সেভাবে অটোরিকশা চালকরা পরীক্ষা করাচ্ছেন কিনা, অথবা কতজন তা করিয়েছেন, তিনি বলেছেন, সেই সংখ্যা তার কাছে নেই, কারণ কেউ কোভিড পজিটিভ হলেই তাদের কাছে খবর আসে।
কেউ যদি কোভিড আক্রান্ত হন, তবে তার সংস্পর্শে কারা এসেছেন, তাদেরও খোঁজ করা হয়, সেভাবে কোনও যাত্রীকে কোভিড পজিটিভ পাওয়া গেলে, তিনি যে গাড়ি ব্যবহার করেছেন, তার চালকের খোঁজ করা হচ্ছে কিনা, ডাঃ চক্রবর্তী বলেছেন, না! সেটা সম্ভবই না। যে যার নিজের মত করে বাড়ি ফিরছেন। কেউ হয়ত বিমান বন্দর থেকে বেরিয়ে এসে গাড়ি ধরছেন, কেউ হয়ত আগেই গাড়ি খবর দিয়ে রাখছেন, ইত্যাদি। “কোন্ প্যাসেঞ্জার কোন্ অটোতে যাচ্ছেন, সেটা নথিভুক্ত করা সম্ভব না,” বলেছেন তিনি।
ত্রিপুরার পাশের রাজ্য আসামের সবচেয়ে বড় শহর গুয়াহাটিতে কম্যুনিটি ট্রান্সমিসন দেখা গেছে বলে সেই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্বশর্মা রবিবারে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, গুয়াহাটি ‘ রিয়্যাল প্যানডেমিক স্টেজ’-এ। মাত্র এগারো দিনে ৬৩ জন থেকে বেড়ে কামরূপ(মেট্রো) জেলায় কোভিড আক্রান্ত ২৭৪১ জন হয়ে গেছেন। এই জেলাতেই গুয়াহাটি শহর। এই শহর উত্তরপূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর ও প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র। প্রতি দশ লক্ষ মানুষে দেশের সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা হচ্ছে দিল্লিতে, ৩২,৮৬৩, তারপরেই আছে অন্ধ্রপ্রদেশ, ১৮,৫৯৭, তিন নম্বরে তামিলনাড়ু, ১৬,৬৬৩ এবং তারপর আসাম, ১৩,৪৭১ জনের পরীক্ষা হচ্ছে প্রতি দশ লক্ষ বা এক মিলিয়নে। ( আগরতলা, ত্রিপুরা। গুয়াহাটি ইনপুটঃ আইএএনএস)