ত্রিপুরায় করোনায় আক্রান্ত চল্লিশ দিন বয়সের একটি শিশু। আগরতলার জিবিপি হাসপাতালে তার চিকিৎসা হচ্ছে, তার মাও কোভিড পজিটিভ।
শিশুটির বাবা ট্যুইটারে চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। শিশুটির বমি হচ্ছে, কিন্তু কোনও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ তাকে দেখে যাননি, এই তার বক্তব্য। জিবিপি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারকে ফোনে এই ব্যাপারে জানতে চাইলে, তিনি বলেছেন, যে ডাকাক্তরা কোভিড ওয়ার্ডে আছেন, তারা যদি বোঝেন, কোনও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের দরকার, তবে তারাই খবর দেবেন, ফোনে পরামর্শ নেবেন। প্রয়োজন থাকলে অবশ্যই শিশু বিশেষজ্ঞ যাবেন তাকে দেখতে।
ত্রিপুরার স্বাস্থ্য সচিবের কাছে এমন ছোট শিশু কোভিড আক্রান্ত কিনা, এবং কীভাবে শিশুটি সংক্রমিত হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। এখনও ওয়াটসঅ্যাপে রাখা সেই জিজ্ঞাসার জবাব আসেনি, এলেই তা এই খবরে তা জুড়ে দেয়া হবে।
ত্রিপুরায় আজ ৫৩ জন কোভিড রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
একজন কোভিড আক্রান্তকে খুঁজে বের করা যাচ্ছে না। গণ্ডাছড়ার মহকুমা শাসক এল রাঙখল মহকুমার পুলিশ আধিকারিককে লিখেছেন সেই রোগীকে খুঁজে বের করতে। গন্ডাছড়ার ডিসিএম অরূপ দত্ত বলেছেন, আগামীকাল আবার তারা রোগীর খোঁজ করবেন। কলকাতা থেকে ফিরেছিলেন সেই রোগী। পরীক্ষায় তিনি কোভিড পজিটিভ বলে শনাক্ত হন। তার দেয়া ঠিকানায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। প্রশাসন থেকে ফোন করা হলে তাও ধরেননি। ওয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিলে তিনি জবাব দিয়েছেন, কিন্তু চিকিৎসায় আসতে রাজি না। রোগীর দাবি, পরীক্ষার ফল ভুল, তিনি ভাল আছেন, দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় পজিটিভ হলেই তিনি চিকিৎসা নিতে আসবেন। তাকে বুঝিয়ে বলা হয় যে নিজে নিজে গিয়ে এই টেস্ট করানো যায় না, এবং তাকে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করার আশ্বাসও দেয়া হয় প্রশাসন থেকে। তাকে এটাও বলা হয় যে তার থেকে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাতেও সেই রোগী রাজি নন। শেষে পুলিশকে জানিয়েছেন মহকুমা শাসক। আগেও দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় একজন কোভিড পজিটিভ উধাও হয়ে গেছেন।