ত্রিপুরা থেকে পাচার হওয়া নাবালিকা ফিরে আসছেন। তাকে আনতে ত্রিপুরা থেকে চারজনের একটি সরকারী দল রাজস্থানে এখন। তারাই নাবালিকাকে নিয়ে আসছেন। মাত্রই চৌদ্দ বছরের মেয়েটি ত্রিপুরা থেকে শিলচরে, সেখান থেকে দিল্লি, দিল্লি থেকে রাজস্থানে পাচার হয়ে যান। বিক্রি হন দুইবার। তারপর একদিন পালিয়ে যান ‘শ্বশুর’ বাড়ি থেকে। রাজস্থানের মান্ডওয়া পুলিশ তাকে পান। একটি হোমে ছিলেন এতদিন। জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিসন ত্রিপুরা পুলিশের কাছে তার ঠিকানা নিশ্চিত জানতে চেয়েছিল। কাগজে বের হয় তার কথা। ত্রিপুরা হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত জনস্বার্থ আবেদন নেয়। মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়। ত্রিপুরা সরকার, শিশু অধিকার রক্ষা কমিসন, আইনসেবা কতৃপক্ষ, ইত্যাদি বিভিন্ন সংস্থাকে একসাথে করে মেয়েটির কল্যাণে ব্যবস্থা নেয় আদালত।আদালতে বিষয়টি আসার পরেই ত্রিপুরা পুলিশও একটি মামলা নিয়েছে এই ব্যাপারে। ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এ কে কুরেশি, বিচারপতি শুভাশিস তলাপাত্র’র বেঞ্চে আছে জনস্বার্থ আবেদনটি। শেষবার ১৩ জুলাই আদালতে এসেছিল বিষয়টি।
হিন্দুস্তান টাইমস’র জয়পুর থেকে করা একটি খবরে বলা হয়েছে, দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজস্থানে, তারা এখন জেলে আছেন। মেয়েটির এক প্রতিবেশি তার মা-কে ভাল ছেলের সাথে বিয়ে দেবেন বলে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাকেও খোঁজা হচ্ছে, লিখেছে কাগজটি। প্রথম খবরটি বের হয় টাইমসঅবইন্ডিয়ায় ১৪ জুন। সেখানে লেখা হয়েছিল, মেয়েটি ২ মে যে তাকে কিনে নিয়ে ‘বিয়ে’ করেছিলেন, তার বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন। ৪ মে তাকে পুলিশ পায়। ‘স্বামী’ স্ত্রী নিখোঁজ বলে থানায় রিপোর্ট করেছিলেন। মেয়েটি তার সাথে যেতে অস্বীকার করায় একটি হোমে পাঠানো হয়। সেখানে হোমের আধিকারিকদের কাছে নিজের কথা বলেন তিনি। সেখানকার এসডিএম আবার তদন্তের নির্দেশ দেন। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে তাকে নিয়ে গেলেও কমিটি তার কথায় সন্দেহ প্রকাশ করে। বিষয়টি যায় রাজস্থানের শিশু অধিকার রক্ষা কমিসনের কাছে। কমিসনের শৈলেন্দ্র পান্ডিয়া তখন বলেছিলেন, “ মেয়েটি জবানবন্দীতে জানিয়েছেন, রাজু নামের একজন তাকে বিক্রি করে দিয়েছে। যে লোকটি তাকে বাড়িতে আটকে রেখেছিল, তিনি দাবি করেছেন , তাকে দেড় লাখ টাকায় তিনি কিনেছেন, এবং তাকে বিয়ে করেছে্ন। আমি ১ জুন একটি মেয়ে বিক্রি হওয়ার কথা জানতে পারি। মেয়েটি এখন গর্ভবতী। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর । আমি জাতীয় কমিসনকে জানিয়েছি।” সেই খবর করার সময়েও এফআইআর হয়নি। পুলিশকে এক সপ্তাহের মধ্যে এফআইআর নিতে বলেছিল রাজস্থানের শিশু অধিকার রক্ষা কমিসন, লিখেছিল সেই খবর।
ভিডিওতে নাবালিকাটির বিক্রি হয়ে যাওয়া, তার পড়াশোনার করার কথা, ইত্যাদি নিয়ে রাজস্থানের সংশ্লিষ্ট আধিকারিক কথা বলেছেন।