ত্রিপুরার দু’টি দাফতরিক ভাষার একটি ককবরক। ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসে চাকরির জন্য পরীক্ষা দিতে প্রশ্নপত্রের উত্তর লেখা যাবে ককবরক ভাষাতেও। এখন বাংলা, ইংরেজি, এবং হিন্দিতে পরীক্ষা দেয়া যায়। মঙ্গলবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ত্রিপুরা উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকায়ায় যারা থাকেন তারা আগরতলায় এলে অল্প টাকায় যাতে থাকতে পারেন তার জন্য একটি আবাস গড়া হবে। আগরতলার উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের পাশে পরিষদের পুরানো কাউন্সিল ভবন এলাকায় হবে এই আবাস। টাকা দেবে নীতি আয়োগ।
আগেও অবশ্য এমন থাকার জায়গা করা হয়েছে, যেমন খোয়াইয় শহরে উপজাতি অংশের জন্য এমন আছে একটি।
ত্রিপুরায় এডিসি ভোট বকেয়া। ১৭ মে এডিসির মেয়াদ শেষ হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে ভোট করা যায়নি।
ককবরক প্রথম বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে প্রথমবারের মত ১৯৭৯ সালের ১৯ জানুয়ারি সরকারি স্বীকৃতি পায়। ত্রিপুরার সরকারি দফতরের একটি ভাষা হয়ে ওঠে। তারপর থেকেই প্রত্যেক বছর ১৯ জানুয়ারি ককবরক দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে। ধীরে ধীরে এই ভাষায় প্রাথমিক স্তরে পড়াশোনা শুরু হয়। এখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই ভাষায় পড়াশোনার সার্টিফিকেট নেয়া যায়। ককবরকে প্রকাশিত হচ্ছে বই। জেলা পরিষদের প্রকাশনা বিভাগ থেকে যেমন হচ্ছে, হচ্ছে বেসরকারি স্তরেও। স্বশাসিত উপজাতি জেলা পরিষদও সেই প্রথম বামফ্রন্ট আমলেই গঠিত হয়েছিল।
ছবি সৌজন্যঃ ককবরক ওয়ার্ল্ড