করোনা সংক্রমণের জন্য সরকারীভাবে বিভিন্ন জিনিস কেনায় কোনও দুর্নীতি হয়নি ত্রিপুরায়, বলেছেন আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ আজ সন্ধ্যায় মহাকরণে। ত্রিপুরায় করোনা মোকাবিলায় স্যানিটাইজার,ইত্যাদি কেনায় অনিয়ম হয়েছে, এই অভীযোগ করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ, চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। বিধায়ক রায় বর্মন এই সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন বছর খানেকের মত। রাজ্য সরকার ২৪ এপ্রিল তদন্ত কমিটি গঠন করে এই ব্যপারে।
তদন্তের ঘোষণা দিয়ে রতন লাল নাথ বলেছিলেন পরদিন এ নিয়ে মুখ খুলবেন। আজ তিনি সে নিয়ে আবার কথা বললেন। তিনি বলেছেন, পদ্ধতিগত কিছু ভুল আছে, কোনও দুর্নীতি নেই।
ন্যাশনাল হেলথ মিসন’র ডিরেক্টর অদিতি মজুমদারকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল।, স্বাস্থ্য সচিব ডঃ দেবাশিষ বসুকেও। পরে চাকরি ছেড়ে দেন।।
২৮ মে তদন্তকারী অফিসার কিরণ গিত্যে এবং তনুশ্রী দেববর্মা রিপোর্ট জমা দেন মুখ্যসচিবের কাছে।
মন্ত্রী বলেছেন, কোন দুর্নীতি হয়নি। যা হয়েছে তাতে কিছু প্রসিডিউরে ডিফেক্ট আছে। কিন্তু করাপশন হয়নি। টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়নি। দু’জন আধিকারিকের ভুল বোঝাবুঝির জন্য এমন হয়েছে।
তাছাড়া তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করছেন আজ। আরও কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার কোভিড ওয়ান নাইন মোকাবিলায়।
ত্রিপুরায় এখন এক্টিভ রোগী আছেন ৫৭৬ জন। এন্টিজেন ডিটেকশন টেস্ট শুরু হয়েছে। চারদিনে এই টেস্ট হয়েছে ১৬১৪ জনের, ২১ জনকে পজিটিভ পাওয়া গেছে। রাজ্যে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে এখন ৫৪। মে মাসের ২৬ তারিখ থেকে গতকাল পর্যন্ত ত্রিপুরায় মাস্ক না পরার জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৬৮ লাখ টাকার বেশি। এ সময়ে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া, অতিরিক্ত মাল নেয়া, বা অন্য বিভিন্ন সরকারি নিয়ম না মানায় এক কোটি তের লাখ টাকার বেশি জরিমানা আদায় হয়েছে ত্রিপুরায়।