ত্রিপুরা বিজেপি’র প্রাক্তন মুখপাত্র প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী আগরতলার মিলনচক্র এলাকায় নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত হয়েছেন। ভাঙচুর হয়েছে তার বাড়িতে।
প্রসেনজিৎ গতকালই নতুন রাজনৈতিক সংগঠন করার ঘোষণা দিয়েছেন সংবাদ সম্মেলন করে।
গত শনিবারে তার বাড়ির সামনে কয়েকজন এসে, তাকে ডেকে শাসিয়ে গেছে বলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশেও নালিশ করেছেন। তার দাবি ছিল, সেদিন যারা এসেছিলেন, তারা বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি ডাঃ মানিক সাহা এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব’র নাম বলেছেন। ফেসবুক লাইভে তিনি বিজেপি’র সর্ব ভারতীয় সভাপতিকেও সম্বোধন করেছিলে, সম্বোধন করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে, এমনকী প্রধানমন্ত্রীকেও। সেই লাইভেই তিনি বলেছিলেন, বিজেপি তার হৃদয়ে।
পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছিল বলে জানা গেছে।
ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল, প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী ২০১৭ সালের মাঝামাঝি থেকে দলের সাথে ব্যাক্তিগত কারণে সম্পর্ক রাখেননি।
প্রসেনজিৎ আবার সেই দাবি গতকাল নতুন রাজনৈতিক সংগঠন করার ঘোষণার আগে নসাৎ করে পাল্টা দাবি করেছিলেন, ২০১৭ সালের মাঝামাঝি বিজেপি ছাড়েননি। তিনি কোনও পদত্যাগ পত্র দেননি।
আজ আক্রমণের পর প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী বলেছেন, আক্রমণকারীরা তার মোবাইল ফ্যন, ল্যাপটপ, ইত্যাদি সব নিয়ে গেছেন।তিনি বলেছেন, নেতাজি’র ( সুভাষ চন্দ্র বসু) আদর্শে তিনি সংগঠন গড়ে তুলবেনই।
বেশ কিছুদিন ধরেই প্রসেনজিৎ বিজেপি’র গঠনতন্ত্র, সাংগঠনিক নির্বাচন, ইত্যাদি নিয়ে ফেসবুক লাইভে প্রশ্ন তুলছিলেন।
বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেছেন, প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী সিপিআই(এম)-র ক্রীড়নক হিসাবে কাজ করছেন। তিনি কী বলেছেন, কী করছেন, তা রাজ্যের মানুষ দেখছেন। তাকে নিয়ে ভাবতে রাজি না দল। তার শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলে তিনি আশা রাখেন।