ত্রিপুরায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় লকডাউন হচ্ছে ১৭ এপ্রিল থেকে সকাল সাতটা থেকে সাতদিনের জন্য। করোনা সংক্রমণ আটকাতে এই ব্যবস্থা বলে ঘোষণা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় কোভিড ওয়ান নাইন কিছুটা ছড়িয়ে পড়েছে বলে সরকারের নজরে এসেছে। মুদির দোকান, ওষুধের দোকান, ইত্যাসি ছাড়া সব ব্যবসা, বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। সব অফিস, স্কুল, কোচিং সেন্টার, হোটেল বন্ধ। মানুষের চলাফেরা বন্ধ। গাড়ি চলবে না। শুধু জরুরী কাজে বের হওয়া যাবে। আন্তরাজ্য বাস, ইত্যাদি চলবে। এরকম বেশ কিছু নিয়ম করা হয়েছে।
গ্রামে আন্তর্জাতিক সীমানা থেকে এক কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা, আর শহরে পাঁচশ মিটার এই লকডাউনের আওতায়। জেলা প্রশাসন এলাকা চিহ্নিত করে দেবে।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে নানা জিনিস আসে। তার মধ্যে মাছ অন্যতম। তিন মাসের মত বন্ধ থাকার পর কয়েকদিন হয়েছে মাছ আসা শুরু হয়েছে। এই বন্দর দিয়েই পাব্লিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের চালও আসে। তেমন একটি বড় চালান আসার কথা আছে ২১ জুলাই বলে জানা গেছে আমদানি-রপ্তানি যারা করেন, তাদের কাছ থেকে।
সদর মহকুমা শাসক অসীম সাহা বলেছেন, এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট বন্ধ থাকবে না। লকডাউন ঘোষণার পর মঙ্গলবারে বলেছেন ইন্দো-বাংলাদেশ এক্সপোর্টার্স ইমপোর্টার্স কম্যুনিকেসন সেন্টার’র সেক্রেটারি কৃষ্ণনন্দ মজুমদার, তাদের কাছে স্থল বন্দর বন্ধ রাখার কোনও খবর তখনও নেই।
করোনা মোকাবিলায় প্রত্যেক সরকারী অফিস প্রতিদিন স্যানিটাইজ করার জন্য বলা হয়েছে। মাস্ক না পরে গেলে ঢুকতে দেয়া হবে না।