কোভিডে আরও মৃত্যু, আরও কমল সুস্থতার হার, ত্রিপুরায়। আরও চারজনের মৃত্যুর খবর জানা যাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের সান্ধ্য বুলেটিন থেকে। গতকাল মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৮৯, আজ তা ৯৩। সুস্থতার হার ছিল ৬৯.০৩ শতাংশ, একদিনেই নেমে তা দাঁড়িয়েছে ৬৭.০৩ শতাংশে। গতকাল ও আজ, দুই দিনের বুলেটিনের সংখ্যা তুলনা করলে, নমুনা পরীক্ষার পার্থক্য, ২৬১৩৭৪ ( আজ) থেকে ২৫৩২৮১ ( গতকাল) বিয়োগ করে ৪৩৫৬। ঠিক একইভাবে হিসাবে মোট কোভিড পেসেন্ট বেড়েছেন ৫০৯ জন। তাতে পজিটিভিটির হার দাঁড়ায়, ১১.৬৮ শতাংশ,মানে প্রতি একশ নমুনা পরীক্ষায় গড়ে ১১.৬৮ নমুনা পজিটিভ হয়েছে। ত্রিপুরায় এখন এক্টিভ কোভিড পেসেন্ট ৩২৮৪ জন, আজ ছাড়া পেয়েছেন ১৯৮ জন।
সপ্তাহের প্রথম দিকে জিবিপি হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ডাঃ তপন মজুমদার বলেছিলেন, এক সপ্তাহ ধরে নয়-দশ শতাংশ হারে পজিটিভিটি। তিনি এও বলেছিলেন যে দশ শতাংশ পজিটিভিটি চলতে থাকলে কম্যূনিটি ট্রান্সমিশন’র সম্ভাবনা প্রবল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পাঁচ শতাংশের কম থাকা সুপারিশ করে।
কোভিডের জন্য নমুনা পরীক্ষা, মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা, বিভিন্ন সরকারী জায়গায় বিভিন্ন রকম। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে আজ বলা হচ্ছে, ত্রিপুরায় মোট কোভিড পেসেন্টের সংখ্যা ১০৪৩৬ জন। কোভিড ওয়ান নাইন ত্রিপুরা নামে ত্রিপুরার স্টেট পোর্টালে যুক্ত সাইটে বলা হচ্ছে, ২৭ আগস্ট মোট রোগীর সংখ্যা ১০৪৩৩ জন। গতকাল সাইটে সেই সংখ্যা ছিল ৯৯২৪ জন, বুলেটিনে ৯৯২৭ জন, আবার মাইগভ সাইটে সেই সংখ্যা ছিল ৯৯০৮ জন। বুলেটিন এবং কোভিড ত্রিপুরা সাইটে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও পার্থক্য আছে। জুলাই মাসে সিপাহিজলা জেলার মৃত্যুর সংখ্যাও গড়মিল ছিল। মৃত্যুর সংখ্যা একদিন পর এক কমে গিয়েছিল। তখন সাইটে দেয়া কতৃপক্ষের ই-মেলে চিঠি দেয়া হয়েছিল, জবাব পাওয়া যায়নি।