ত্রিপুরায় কোভিডে মৃত্যু বেড়ে এখন ৮৯। গতকাল এই সংখ্যা ছিল ৮৫। ৩৮৫ জন কোভিড পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন গতকাল। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আগরতলার ক্যান্সার হাসপাতালে আসা রোগী। ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ এবং আইএলএস হাসপাতালে আসা রোগীও আছেন সেই তালিকায়। কলকাতা থেকে আসা যাত্রী আছেন, আছেন স্বাস্থ্য কর্মীও। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন থেকে পাওয়া তথ্য থেকে দেখা গেছে, গতকালের কোভিড পজিটিভিটির হার দশ শতাংশের বেশি। টেস্ট হয়েছিল ৩৭৩৭ জনের, পজিটিভ ৩৮৫ জন। পজিটিভির হার ১০.৩০ শতাংশ। সপ্তাহখানেকের বেশি সময় ধরেই এই ট্রেন্ড চলছে।
বামুটিয়া ব্লকের বিডিও, পশ্চিম জেলার শাসকের কাছে আজ জানতে চেয়েছেন, দু’দিন ব্লক অফিস বন্ধ রাখবেন কিনা,নাকি অফিস চালিয়ে যাবেন, কারণ একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান, প্রমুখ কোভিড পজিটিভ বলে জানা গেছে । তারা ব্লক অফিসে গিয়েছিলেন। তার আগে আগরতলা শহরের বয়েজ বোধজং স্কুলও জেলা শিক্ষা আধিকারিকের কাছে দিন তিনেক আগে একই রকম চিঠি দিয়েছিল, তাদের এক ছাত্র কোভিড পজিটিভ হওয়ার কারণে।
আগরতলা গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ডাঃ তপন মজুমদার সোমবারে বলেছেন, এক সপ্তাহ ধরে পজিটিভিটির হার নয় থেকে দশ শতাংশ। এমন চললে কম্যুনিটি ট্রান্সমিসনের সম্ভাবনা প্রবল।
সেই পজিটিভিটির হার কমেনি, গতকাল দশ শতাংশ পার হয়েছে। ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত যত টেস্ট হয়েছে, সেই হিসাবে পজিটিভির হার ৩.৮৬ শতাংশ।
ত্রিপুরায় এখন কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯২৭। আজ সন্ধ্যার বুলেটিন অনুযায়ী এটা গতকাল পর্যন্ত হিসাব। আজকের সংখ্যা এখানে যোগ হয়নি।মৃত্যু-হার বেড়েছে, এখন ০.৯০ শতাংশ। কমেছে রিকোভারি রেট। ৭০.৩২ শতাংশ থেকে কমে, ৬৯.০৩ শতাংশ।
যারা মারা গেছেন, তাদের কোমর্বিডিটি ফ্যাক্টর কিছু ছিল কিনা, বয়স কত, ইত্যাদি স্বাস্থ্য দফতর অন্যদিনের মতই আজও জানায়নি।