আরও মৃত্যু! কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা ত্রিপুরায় একশ ছাড়িয়ে গেছে। স্বাস্থ্য দফতরের সন্ধ্যার বুলেটিনে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০২। একদিনে চারজন বেড়েছেন।
খোয়াই শহরের এক ‘১০৩২৩’ শিক্ষক মারা গেছেন জিবিপি হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে। বয়স হয়েছিল মাত্রই ৩৭ বছর।তিনি মা-বাবার একমাত্র সন্তান।
তার পরিবার বলেছে, দুপুর দু’টো তিপান্ন মিনিটে সরকারীভাবে জানানো হয়, সকাল নয়টায় তিনি মারা গেছেন। তবে তার পাশের এক রোগী তাদের আগেই ফোনে জানিয়েছেন, ভোর রাতে মারা গেছেন তিনি। অক্সিজেনের জন্য ডাকাডাকি করে, অক্সিজেন আসতে দেরি হয়েছে। তাছাড়া, তার পেনক্রিয়াসের সমস্যা থাকলেও, সে জন্য কোনও চিকিৎসা হয়েছে কিনা, তাদের সন্দেহ আছে। ২৮ তারিখ তাকে খোয়াই থেকে এনে সন্ধ্যায় ভর্তি করা হয়েছিল, ফোনে ভাইয়ের কাছে তিনি বলেছিলেন, তাকে ‘সেলাইন’ দেয়া হচ্ছে না। প্যানক্রিয়াটাইটিস বলে খোয়াইর চিকিৎসকরা সন্দেহ করেছিলেন রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে, কোভিড পজিটিভ বলেও ধরা পড়েন, আগরতলায় ভাল চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল, পরিবারের মানুষ বলেছেন।
কোভিড ওয়ার্ডে অক্সিজেনের অভাব, চিকিৎসায় গাফিলতি, ইত্যাদি অভিযোগ বার বারই উঠছে। প্রথম রোগীই অভিযোগ করেছিলেন, খাবার না পাওয়ার। তারপর অনেকবারই এসেছে অভিযোগ, কোভিড কেয়ার সেন্টার অথবা কোভিড হাসপাতাল থেকে রোগীদের বা তাদের আত্মীয়ের করা ভিডিও সামাজিক মাধ্যম এবং সংবাদ মাধ্যমে এসেছে বার বার। তিনদিনের শিশু মৃত্যুর অভিযোগ এসেছে কোভিড টেস্ট করানোর জন্য, পুলিশেও গেছেন মা-বাবা। সরকার তদন্তের নির্দেশ দিয়ে তিনদিনে রিপোর্ট পাওয়ার কথা বলেছিল, রিপোর্ট এসেছে কিনা জানা নেই, তবে সংবাদ মাধ্যমে তা আসেনি এখনও, পনেরো দিন পেরিয়ে গেছে তদন্ত নির্দেশের।