একবার সুস্থ হয়ে কেয়ার সেন্টার থেকে ছাড়া পাবার পর দ্বিতীয়বার কোভিড পজিটিভ বলে মেডিক্যাল রিপোর্ট এল ত্রিপুরার এক অ্যাডিসনাল গভর্মেন্ট এডভোকেট’র। প্রথমবার কোভিড কেয়ার সেন্টারে থাকার সময় স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে গণ্ডগোলে জড়িয়ে পরায় তিনি অভিযুক্ত।
“তাকে বিশালগড়ের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে নেয়া হয়েছিল। সাধারণভাবে এখন সংশোধনাগারে যাদের নেয়া হচ্ছে, সবারই কোভিড টেস্ট হচ্ছে, সেভাবে তারও টেস্ট হয়েছিল । টেস্টের রেজাল্টে বলা হয়েছে, তিনি কোভিড পজিটিভ,” বলেছেন তার আইনজীবী সম্রাট কর ভৌমিক।
তিনি বলেছেন, তার সাথে আরও তিনজন অভিযুক্ত, “ বাকীরা সবাই নেগেটিভ।”
ত্রিপুরার রাজধানী শহিদ ভগৎ সিং যুব আবাসের কোভিড কেয়ার সেন্টারে ওই অ্যাডিসনাল গভর্মেন্ট এডভোকেট ছিলেন চিকিৎসা নিতে। সেখানে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সঙ্গীতা চক্রবর্তী ও তার লোকজনের সাথে রোগীরা খারাপ ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ। সেটা ২৪ জুলাইয়ের কথা।
পরে জেলা শাসকের কাছে ডাঃ চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন, কয়েকজন সদ্যজাত শিশু এবং তাদের মায়েদের শহিদ ভগৎ সিং যুব আবাসে পৌঁছে দিতে গেলে সেখানে থাকা কিছু রোগী তাদের বাধা দেন। তিনি খবর পেয়ে যান। স্বাস্থ্যকর্মীদের দিকে থু থু দেন কয়েকজন। হলুদ জামা পরা একজন ব্যালকনি থেকে জলকুলি ফেলেন তার ওপর। তিনি জেলা শাসককে দেয়া চিঠিতে বলেছিলেন, তিনি দেখলে চিনতে পারবেন তাকে ।
বিষয়টি নিয়ে মামলা হয় ২৭ জুলাই। যুব আবাসের কোভিড কেয়ার সেন্টার থেকে চারজনকে ২৯ জুলাই কোভিড মুক্ত বলে ছেড়ে দেয়া হলেও, নিয়ে যাওয়া হয় একটি কোয়ারান্টিন সেন্টারে , এবং সেখান থেকে ৪ আগস্ট তাদের পুলিশের কাছে প্রশাসন তুলে দেয়। অ্যাডিসনাল গভর্মেন্ট এডভোকেটসহ চারজন গ্রেফতার হন। সেদিনই তাদের ট্রায়াল কোর্টে তোলা হয়। জামিনও পেয়ে যান। তাদের সাথেই হাঁপানিয়ার কোভিড কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসা নেয়া দু’জনকেও স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে গন্ডগোলের অভিযোগে গ্রেফাতার করে আদালতে নেয়া হয়েছিল, তারাও জামিন পেয়ে যান।
ভগৎ সিং যুব আবাসে অভিযুক্তরা অন্তবর্তী জামিন পেয়েছিলেন ২৯ আগস্ট পর্যন্ত । তাদের জামিন পরদিন ত্রিপুরা হাইকোর্টে বাতিল হয়ে যায়। পুলিশের কাছে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেয়া হয়। টি আই প্যারডের করার নির্দেশও ছিল। বিষয়টি আবার নীচের আদালতে চলে আসে। শুক্রবারেও বিষয়টি উঠেছিল আদালতে ।
“অভিযুক্তদের ১৮ আগস্ট পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে, আর টি আই প্যারেড করতে বলা হয়েছে ১০ আগস্ট। হাইকোর্ট ৫ আগস্ট বলেছিল, দুই দিনের মধ্যে টি আই প্যারেড করতে। পশ্চিম জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক এখন কোরান্টিনে আছেন। তাই সেটা করা যায়নি,” বলেছেন আইনজীবী সম্রাট কর ভৌমিক।
“আমার ক্লায়েন্টের কোভিড ওয়ান নাইন টেস্ট আবার পজিটিভ আসায় , তাকে বিশালগড়ের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে হাঁপানিয়ার কোভিড কেয়ার সেন্টারে আনা হয়েছে চিকিৎসার জন্য,” জানিয়েছেন আইনজীবী কর ভৌমিক।