ত্রিপুরায় শাসক বিজেপি পুলিশের সাথে কুস্তিতে আছে, গতকাল সিপাহীজলার বিশালগড়ে, দক্ষিণ জেলার বাইখোড়া থানার সাথে গত সন্ধ্যায় এবং আজ।
তার আগে আবার টাকারজলায় শরিক আইপিএফটি’র আক্রমণের মুখে পড়ে আগরতলা থেকে বিজেপি ছুটে গিয়ে পুলিশ ওপর ঝাল ঝারাঝারির ঘটনাও আছে।
খোয়াই জেলায় পদস্থ পুলিশবাবুদের সামনেই বিজেপি-নেতা কর্মীরা আক্রান্ত বলে বিজেপি’র সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা অভিযোগ করেছিলেন কয়েকদিন আগেই।
দক্ষিণ ত্রিপুরার মুহুরিপুর বাজারে পুলিশের সাথে ঝামেলা হয় শাসক বিজেপি’র দুই সিকি নেতার। এক মহিলা পুলিশ আধিকারিককে অপমানকর কথা বলার অভিযোগ। এসডিপিও পর্যন্ত ছুটে যান অবস্থা সামাল দিতে।
বাইখোড়া থানার পুলিশ আধিকারিক এবং টিএসআর জওয়ানদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে বিজেপি আজ স্লোগাম দিয়েছে, পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছে। বিজেপি নেতা বলছেন, পুলিশ সিপিআই(এম)’র দালাল!
পুলিশ, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের আওতায়, কারণ তিনিই স্বরাষ্ট্র দফতরেরও মন্ত্রী।
দক্ষিণ জেলার পুলিশ সুপারকে লেখা চিঠিটি ‘ ডিফেন্স মিনিস্টার অব ত্রিপুরা গভর্নমেন্ট’ (!) -কেও দেয়া হয়ে বলে ‘কপি টু’-তে লেখা।
ছবিতে হলুদ পাঞ্জাবি পরা যিনি স্লোগান দিচ্ছেন, তিনি ঋষ্যমুখের বিজেপি মন্ডল সভাপতি, অশেষ বৈদ্য। তিনি গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন।
বিরোধী সিপিআই(এম) অভিযোগ করছে দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ তাদের নেতা-কর্মীরা শাসক দলের হাতে আক্রান্ত হলে কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। গতকালও রাজ্যের বেশ করেকটি জায়গায় সিপিআই(এম) কর্মী-সমর্থকরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের বাড়িতে বোমা পড়েছে, পুলিশ কোনও ক্ষেত্রেই কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যেও ডেকেছে বলে জানা যায়নি।
বামপন্থী শ্রমিক-কর্মচারীদের দেশজুড়ে করা রুটি রোজগারের দাবি নিয়ে কর্মসূচীতেও পুলিশ বাধা দিয়েছে কোভিড সংক্রান্ত নিয়ম, অনুমতি ইত্যাদির অভি্যোগ তুলে, তবে মাস্কহীন বিজেপি কর্মীদের পুলিশ জরিমানা করেনি।