মোহনপুরে হাসপাতালেই ডাক্তার মার খাওয়ার অভিযোগের একদিন পার হয়ে গেলেও, এখনও কোনও গ্রেফতার নেই।
মোহনপুর ত্রিপুরার পশ্চিম জেলার একটি মহকুমা।
পশ্চিম তারাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার ভিক্টর দেব। দিন কয়েক আগেই বাবাকে হারিয়েছেন। গতকাল আক্রমণের শিকার। একবার নয়, দুইবার। একবার তার নিজের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চৌহদ্দিতে। একবার একই কমপ্লেক্সে থাকা মোহনপুর কম্যুনিটি হসপিটাল’র আধিকারিকের ঘরে, তার সামনে। নিজের কাজের জায়গায় আক্রান্ত হয়ে তিনি যখন কম্যুনিটি হসপিটালে তার উপরের আধিকারিককে জানাতে গেছেন সেই ঘটনা, সেখানে গিয়েও তাকে আবার আক্রমণ করা হয়, ডাক্তার বলেছেন।
শরীরে আঘাত লেগেছে, চোখে লেগেছে তার। জিবিপি হাসপাতালে চোখ দেখিয়েছেন। সেটা নিয়েও আজও তিনি ডিউটিতে আছেন। শরীরের চোট থেকেও মনে আঘাত লেগেছে বেশি। ” মানুষের জন্য কাজ করে, দিনরাত খেটে, এই হল। আমি মার খেলাম,” ডাঃ দেব এই দুঃখের কথা বলেছেন। ” আমাদের কেউ বোধহয় পাত্তাই দেন না।”
“আমাদের সংগঠনকে জানিয়েছি। থানায়ও জানিয়েছি। শিক্ষামন্ত্রী মহাশয় এসেছিলেন। তিনিও ব্যাপারটা জানেন,” বলেছেন ডাঃ দেব।
গতকাল ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় মশারি দেয়ার বিষয় ছিল। মশারি দেয়া থেকেই অভিযুক্ত ঘটনা।
সূত্রের খবর, মশারি গতকালই দিতে হবে, এমন বিষয় নাকি জানতেনই না সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। ‘কম্যুনিকেসন গ্যাপ’ থাকতে পারে বলে বলেছেন সেই সূত্র। সেই সূত্র থেকেই জানা গেল, হাসপাতাল চত্বরে সিসি ক্যামেরা থাকলেও, যেখানে ঘটনা হয়েছে, সেই দুই জায়গায় সিসি ক্যামেরা নেই।
মোহনপুর কম্যুনিটি হেলথ সেন্টার’র আধিকারিক ডাঃ সুধীর দেববর্মাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
সিধাই থানার অফিসার-ইন-চার্জ বিজয় সেন বলেছেন, অভিযোগ পেয়েছি। তবে নির্দিষ্ট কারও নামে অভিযোগ করা হয়নি। নির্দিষ্ট কারও নামে হলে তদন্তে সুবিধা হয়। তবে তদন্ত চলছে। এখনও কোনও গ্রেফতার নেই।
ডাক্তার ভিক্টর দেব বলেছেন, তিনি যখন থানায় অভিযোগ করেছেন, যে তাকে মেরেছেন, তার নাম তিনি জানতেন না। পরে তিনি জানতে পারেন, অভিযুক্তের নাম শঙ্কর দেব।
শঙ্কর দেব মোহনপুরে পরিচিত শাসক বিজেপি দলের নেতা বলে জানা গেছে।
মোহনপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই নির্বাচিত হয়েছেন ত্রিপুরার আইনমন্ত্রী, যিনি শিক্ষামন্ত্রীও, রতন লাল নাথ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এই কেন্দ্র থেকে টানা ছয়বারের বিধায়ক।