তখনও লকডাউন চলছিল, এমনকী এখন যে আনলক পর্যায়, তাতেও আটকায় এই কাজ, এবং তাদের ঘোষিত দলীয় সিধান্তও প্রকাশ্যে কোনও রাজনৈতিক কাজ না করা। তবু হয়েছে।
ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার ফটিকরায়ে শাসক দল বিজেপি’র পার্টি অফিস’র খুঁটি পোতা হয়েছে, পোষাকী ভাষায়, ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন।
দলীয় নেতা-সমর্থকদের ভিড় ঠাসা অনুষ্ঠানে ছিলেন ঊনকোটি জেলার সভাধিপতি ভগবান দাস, বিধায়ক সুধাংশু দাসও। দুই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতেই লকডাউন উড়ে গেছে, শারিরীক দূরত্ব কিছুই ছিল না। মাস্ক পরা মানুষের সংখ্যা অতি সামান্য, প্রায় নেইই।
” হিন্দুশাস্ত্র মতে প্রত্যেকদিন এমন কাজ করা যায় না, দিনক্ষণ দেখে করতে হয়।তাই লকডাউনেই করতে হয়েছে, ” বলেছেন ভগবান দাস।
ত্রিপুরা সরকার যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিজার ঘোষণা করেছে, তাতে রাজনৈতিক, বিনোদনমূলক, ধর্মীয় সব অনুষ্ঠানই বন্ধ থাকার কথা এখনও, লকডাউনে তো ছিলই। ফটিকরায়ে বিজেপি’র পার্টি অফিস তোলার ভূমিপূজা, ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন , ইত্যাদি হয়েছে সোমবারে।
বিজেপি গত মাসের ১৪ তারিখ ঘোষণা দিয়েছিল, প্রকাশ্যে কোনও রাজনৈতিক কাজ করবে না, বিশেষ প্রয়োজনে ঘরে আলোচনা হলে, তাও নিয়ম মেনে দূরত্ব বজায় রেখে কুড়ি জনের বেশি একসাথে হবেন না।
যদিও তা মানা যে হচ্ছে না, ফটিকরায় প্রমাণ। তার আগে ধলাইয়ে অন্য দল আসাদের বিজেপিতে স্বাগত জানানো, গাছের নীচে খোলা জায়গায়, মুখে মাস্কছাড়া, গায়ে গায়ে লেগে মিটিং হয়েছে, ছবিও সামাজিক মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। বিজেপি’র ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি তখন দলত্যাগীদের স্বাগত জানানোর বিষয়ে বলেছিলেন, এরকম হয়ে থাকলে, ঠিক হয়নি।
বিজেপি’র মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী, বিরোধীদের একটি রাজনৈতিক কর্মসূচীর প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, তারা করোনা ছড়াতে সহায়ক হচ্ছেন।
ফটিকরায়ে লকডাউনের নিয়ম এবং অন্য নিয়ম ভাঙার জন্য নিয়ে এখনও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানা যায়নি।