ত্রিপুরায় কোভিড সেন্টারে কর্মরত এক ডাক্তারকে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য সরকার। উত্তম ভট্টাচার্য চোখের ডাক্তার এবং আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক। ভগৎ সিং কোভিড কেয়ার সেন্টারে কাজ করছিলেন। তাকে সাসপেন্ড করেছে সরকার গতকাল রাতে।
কী কারণে ডাক্তারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা তা কেউ বলতে পারছেন না। ডাঃ উত্তম ভট্টাচার্যের সাসপেনসন অর্ডারে লেখা হয়েছে ডিসিপ্লিনারি একশান নেয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
কিন্তু আর কোনও কারণ বলে হয়নি সেখানে।
এই সাসপেনশন অর্ডারের বিরুদ্ধে বুধবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আগরতলার ডাক্তারা।
ডাক্তারদের তিনটি সংগঠন আইএমএ, এটিজিডিএ এবং ফাকাল্টি এসোসিয়েশনের উদ্যোগে সভা হয় জিবিপি হাসপাতালেই। এখনই ডাক্তার উত্তম ভট্টাচার্যের উপর থেকে সাসপেনসন তুলে নেবার দাবি জানিয়েছন তারা।
ডাক্তারদের বক্তব্য এটা সম্পূর্ণ অনৈতিক সাসপেন্সেন।
এটিজিডিএ-এর সাধারণ সম্পাদক রাজেশ চৌধুরী বলেছেন, সম্পূর্ণ অন্যায্য ভাবে উত্তম ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কী কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাও বলা হচ্ছে না। যা শোনা যাচ্ছে, তাতে একজন জনপ্রতিনিধি কোভিড সেন্টারে ঢোকার কারণেই নাকি এই সাসপেনসন। কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেছেন, তারা ভয়ে আছেন কখন কী ব্যবস্থা নেয়া হয় তাদের বিরুদ্ধে।
জিবিপি হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার ডাক্তার রঞ্জিত দাস বলেছেন, ত্রিপুরাতে এমনিতেই ডাক্তার কম। তার উপর এভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলে কেউ কোভিড কেয়ার সেন্টারে যেতে চাইবেন না।
ভগৎ সিং কোভিড কেয়ার সেন্টারেই রবিবার গিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ।
তারপরই তাকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারান্টাইনে যেতে বলেন পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা শাসক ডাঃ সন্দীও মাহাত্মে। পুলিশে পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের হয় বিধায়কের বিরুদ্ধে। কিন্তু কোয়ারান্টাইনে যেতে অস্বীকার করেন বিধায়ক সুদীপ বর্মণ।
অনেকে মনে করছেন সুদীপ রায় বর্মণ কী ভাবে কোভিড কেয়ার সেন্টারের ভেতরে ঢুকলেন, তার জন্যই হয়তো সাসপেন্ড করা হয়েছে ডাক্তার উত্তম ভট্টাচার্যকে।