আগরতলার শহিদ ভগৎ সিং যুব আবাসের কোভিড কেয়ার সেন্টারে থু থু কান্ডে জামিন পেলেন না অ্যাডিসনাল গভর্মেন্ট অ্যাডভোকেট।
পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার সেসন জজ এস দত্ত পুরকায়স্থের আদালতে বাতিল হয়ে গেছে তার জামিনের আবেদন, জানিয়েছেন আইনজীবী সম্রাট কর ভৌমিক।
অন্য একটি আদালতে এই বিষয়ে পুলিশ রিমান্ড’র শুনানি বাকী আছে। এই অবস্থায় অডিসনাল গভর্মেন্ট অ্যাডভোকেট জামিন দিলে সেই আবেদনের শুনানি ছাড়াই সেই আবেদনের আর মানে থাকবে না, জামিনের আবেদন খারিজ করার আবেদনে বলেছেন বিচারক।
বিচারকের কাছে শহিদ ভগৎ সিং যুব আবাসের সিসিসি’র সিসিটিভি ফুটেজ দেয়া হয়েছিল।
শুক্রবারে জামিনের আবেদন নিয়ে রায় দেয়ার দিন ঠিক ছিল। কেস ডায়েরি দেখার সময় বিচারকের নজরে আসে যে যদিও সিসিটিভি ফুটেজ তদন্তকারী অফিসার জিম্মায় নিয়েছেন, কিন্তু সেটা কেস ডায়েরিতে নেই। দুপুর দেড়টার মধ্যে তা দিতে বলা হয়।
রায়ে বলা হয়েছে, বিচারক সেই ফুটেজ যতটা সম্ভব দেখেছেন। সেই ফুটেজে অভিযুক্তের সাথে মিলে এমন কাউকে দেখা গেছে, এবং একটি অ্যাম্বুলেন্স ফিরে যাচ্ছে। তারপর একসময় একজন ভেতরে ঢুকছেন। কিছু একটা হয়েছে, দ্বিতীয় অ্যাম্বুলেন্সও ফিরে যাচ্ছে তারপর। সিসিটিভি ক্যামেরা অভিযোগে বলা জায়গার কাছে নয়। ক্লিপগুলিতে আসল ঘটনা কী, ঠিকভাবে তা দেখা যায় না। তাছাড়াও, ক্লিপে অডিও নেই। এই ফুটেজ থেকে কিছু নিশ্চিত হওয়া কঠিন ব্যাপার।
পশ্চিম জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সঙ্গীতা চক্রবর্তী অভিযোগ করেছিলেন যে ২৪ জুলাই, সেই সিসিসি-তে কয়েকজন সদ্যজাত শিশু ও মা-কে নিয়ে গেলে রোগীরা তাদের ঢুকতে বাধা দেন। কেউ কেউ স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে বাধা দেন, কেউ কেউ থু থু দেন, একজন উপরে উঠে ব্যালকনি থেকে জল-কুলি ফেলেন তাদের ওপর।
মামলা হয় ২৭ জুলাই। ২৯ জুলাই সেই সিসিসি থেকে চারজনকে কোভিড মুক্ত বলে দিলে, নিয়ে যাওয়া হয় আরেকটি জায়গায়। সেখান থেকে ৪ আগস্ট পুলিশের কাছে তাদের তুলে দেয় প্রশাসন। সেদিন তারা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত থেকে অন্তবর্তী জামিন পেয়ে যান ২৯ আগস্ট পর্যন্ত। পরদিন ত্রিপুরা হাইকোর্টে তাদের জামিন বাতিল হয়ে যায়।
বিচার বিভাগীয় হেফাজতে তারা গেলে, অডিসনাল গভর্মেন্ট অ্যাডভোকেটের কোভিড টেস্টে আবার পজিটিভ হয়। তাকে আরেকটি কোভিড কেয়ার সেন্টারে পাঠানো হয়। ১০ আগস্ট টি আই প্যারেড হয়। আগের দিন তাকে কোভিড মুক্ত বলে ঘোষণা হয়। জানিয়েছেন আইনজীবী কর ভৌমিক।