প্ৰথম খবর

৮৭৯৪৫৮৭২৩৬ !

By thepongkor

August 08, 2020

কোভিড কেয়ার সেন্টারে হেল্প-ডেস্ক খোলার সিধান্ত হয়েছে, সেখান থেকে রোগীর খবর জানা যাবে। রোগীর অবস্থা জানানো হবে জেলাশাসকদেরও। জিবিপি হাসপাতালের হেল্প ডেস্ক নম্বর, ৮৭৯৪৫৮৭২৩৬ ।

ত্রিপুরায় কোভিড ব্যবস্থাপনা নিয়ে ডাক্তার  এবং রোগী, দুই পক্ষই মাঝে মাঝেই ক্ষোভ চেপে রাখতে পারছেন না। ডাক্তারদের সংগঠনগুলি ঘন ঘনই ডেপুটেসন  দিচ্ছে, গত কয়েকমাসে অন্তত পাঁচবার ডেপুটেসন দিয়েছে অথবা চিঠি লিখেছে। কখনও নতুন ডাক্তার নিয়োগ, কখনও পিপিই কিট কিংবা ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল খোলা, কখনও মেডিক্যাল সুপারের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে অথবা স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য কোভিড কেয়ার সেন্টারে আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা, ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে তারা কথা বলেছেন। ডাক্তারের ওপর থেকে সাসপেনসন তুলে নেয়ার দাবি নিয়েও গেছেন তারা। আবার স্বাস্থ্য পরিসেবা নিয়ে কখনও দাবির পাশাপাশি প্রস্তাব।

সরকারী ডাক্তারদের সংগঠন এটিজিডিএ তাদের ফেসবুকের পাতায় কোভিড ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়ার পর ডাক্তারদের বাধ্যতামূলক  কোয়ারান্টিনে থাকার সময়ে খাবার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কখনও কখনও ।

রোগীরা বিভিন্ন কোভিড কেয়ার সেন্টারে নানা অব্যবস্থার অভিযোগ এনেছেন বারে বারে। তারমধ্যে খাবার এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাই মূল বিষয়। খাবার নিয়ে অভিযোগ ত্রিপুরার প্রথম রোগীও করেছিলেন, কয়দিন আগে এক গর্ভবতী মা-ও করেছেন।

রোগী মারা যাবার পরেও আত্মীয়দের খবর দেয়া হয়নি, এমন অভিযোগ আছে। আবার শ্মশানে দাঁড়িয়ে মৃতার ছেলে চিকিৎসাহীনতার অভিযোগও এনেছেন। শ্মশানে দাঁড়িয়ে ছেলের অভিযোগের ব্যপারে চেষ্টা করেও কোনও পালটা জবাব পাওয়া যায়নি।

শুক্রবারে কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সরকার।

কোভিড ওয়ার্ডে টেলিমেডিসিন চালু করা, যেখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সাথে রোগী কথা বলতে পারবেন , এবং পরামর্শ পাবেন।  নোডাল অফিসার পরিবারের মানুষদের সাথে কথা বলবেন, অবস্থা কী জানাবেন। আগরতলার জিবিপি হাসপাতালে রোগীর বাড়ির মানুষদের জন্য বসার ও জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তবে অন্য কোনও হাসপাতাল বা সেন্টার নিয়ে তেমন কিছু বলা হয়নি। কোভিড কেয়ার সেন্টারে হেল্প-ডেস্ক খোলার সিধান্ত হয়েছে, সেখান থেকেও রোগীর খবর জানা যাবে। রোগীর অবস্থা জানানো হবে জেলাশাসকদেরও। জিবিপি হাসপাতালের হেল্প ডেস্ক নম্বর, ৮৭৯৪৫৮৭২৩৬ ।

কোভিড কেয়ার সেন্টারে সিসি ক্যামেরা লাগানোর হবে  বলা হয়েছে।

আগরতলার শহিদ ভগৎ সিং যুব আবাসের কোভিড কেয়ার সেন্টারে স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে রোগীদের ঝামেলার অভিযোগ আছে, চারজন গ্রেফতারও হয়েছেন, তবে সেখানে  সিসি ক্যামেরা ছিলই।

­