ত্রিপুরায় কোভিডে মৃত্যু হয়েছে একশ বিরাশি জনের। লকডাউন শুরুর সময়ে ত্রিপুরায় কোনও কোভিড পেসেন্ট ছিলেন না। তারপর দু’জন ধরা পড়েন। তারা ভাল হয়ে গেলে, রাজ্যকে কোভিড মুক্ত ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । তারপর একসময় আধা সামরিক বাহিনীতে কোভিড পেসেন্ট ধরা পড়তে থাকেন। তখনও সাধারণ নাগরিকের মধ্যে তা ছড়ায়নি। ত্রিপুরার বাইরে যারা ছিলেন, তারা বাড়ি ফিরতে শুরু করেন একসময়, তখন পাঁচজনে একজনের নমুনা রেখে তাদের বাড়ি যেতে দেয়া হয়। তারা পাব্লিক ট্রান্সপোর্ট ধরে বাড়ি ফিরে যান, তারপর তাদের কারও পজিটিভ হলে , হাসপাতালে আনা হয়েছে। তখন বিরোধী দলসহ অনেকেই এই পাঁচজনে একজনে পরীক্ষা না করে, পরীক্ষা আরও বাড়ানো, ফলাফলা না আসা পর্যন্ত কোয়ারান্টিন সেন্টারে রাখা, ইত্যাদি মত দিয়েছিলেন। সরকার নিজের মত চলে বহুদিন।
আধা সামরিক বাহিনীতে সংক্রমণ কী কারণে, তা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ দল এসেছিল।
ত্রিপুরায় এখন কোভিডে মৃত্যু হার এক শতাংশ ছাড়িয়েছে, প্রতিদিন অভিযোগ আসছে চিকিৎসা না পাওয়ার। দুই বিশেষজ্ঞ এবার এসেছেন রাজ্যের বাইরে থেকে। তারা ত্রিপুরার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন। কী সমস্যা আছে, তা দেখবেন। চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ খবর নেবেন। তাদের একজন মহামারি বিশেষজ্ঞ ডেইজি পান্না এবং একজন রেসপিরেটরি বিশেষজ্ঞ পি কে বর্মা।
অবস্থা যখন সঙিন ছিল না, তখন এমন কেউ আসেননি। আধা সামরিক বাহিনীর ব্যাপারে আগের এক টিম কী রিপোর্ট দিয়েছে, তা সবার সামনে নেই। ফলে জানার উপায় নেই, সাধারণের জন্যও কোনও উপদেশ তারা দিয়ে গিয়েছিলেন কিনা ।
জিবিপি হাসপাতালে তারা গিয়েছিলেন। সেখানে সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক, জিবিপি হাসপাতালের কয়েকজন ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ডাক্তার সত্যজিৎ সেন। তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আঞ্চলিক আধিকর্তা। তিনিও থাকবেন এই দুই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা আগামী দশদিন ধরে রাজ্যের সব জেলায় এবং যেখানে কোভিড বেশি ছড়াচ্ছে, সেখানে যাবেন।