ত্রিপুরার একজন স্বনামধন্য ডাক্তার কোভিডে গুরুতর অসুস্থ । মেডিক্যাল কলেজের ওই অধ্যাপক প্রথমদিকে হোম আইসোলেসনে থাকলেও, তাকে হাসপাতালে পরে ভর্তি করতে হয়েছে, আইসিইউতে নিতে হয়েছে। বহু মানুষের প্রিয় এই ডাক্তারের জন্য দুঃশ্চিন্তায় আছেন অনেকেই। রোগী, চিকিৎসক, রাজনৈতিক নেতারা তার খোঁজ নিচ্ছেন।
কয়েকবছর আগে একবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, সুস্থ হয়ে আবার চিকিৎসা, ছাত্র পড়ানোয় পুরো উদ্যমে লেগে পড়েন। অনেক চিকিৎসকেরই অভিভাবকের মত তিনি।
কোভিড ওয়ার্ডে চিকিৎসা দিয়ে এসে তিনি বলেছেন, করোনার বিরুদ্ধে আমরা জয়ী হবই !
ত্রিপুরায় কোভিডে বহু ডাক্তার আক্রান্ত হয়েছেন, তবে গুরুতর অবস্থা তার আগে কারও হয়নি।
ত্রিপুরায় কোভিডে মারা গেছেন আরও নয়জন। মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০ জন। গতকাল স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে মৃত্যু সংখ্যা ছিল ১৫১। মৃত্যু হার বাড়তে বাড়তে এখন ০.৯৯ শতাংশ। যা উত্তরপূর্বাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সেপ্টেম্বর মাসের এই আট দিনে মারা গেছেন ৪৮ জন। গড়ে প্রতিদিন ছয় জন করে এ মাসে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন। আগস্ট মাসে মারা গিয়েছিলেন ৮৮ জন।
মঙ্গলবার যে বুলেটিন স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে দেয়া হয়েছে তাতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত বলা হয়েছে ১৬ হাজার ১৫৭ জন। পজিটিভিটির হারও অনেক বেশি। ৫.২৯ শতাংশ। রাজ্যে বর্তমানে এক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৬৩১৯। সোমবার একদিনে ৬২৮ জন ন্তুঞ্জ আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল টেস্টে। সুস্থ হয়ে বাড়িতে গেছেন ৯৬৫৩ জন। সুস্থতার হারও কমছে প্রতিনিয়ত। এখন সুস্থতার হার ৫৯.৮৩ শতাংশ। মঙ্গলবার ৩১১ জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
কোভিড চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগ থামছেই না। আজও সেরকম অভিযোগ আছে। গতকাল রাতে একজন হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে এসে কোভিড শনাক্ত হন , এবং জিবিপি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়, সারারাত্র কোনও চিকিৎসা পাননি, সকালে ওষুধ আনার আগেই মারা যান, বলে তার পরিবারের অভিযোগ ।
একজন প্রশাসনিক অফিসার সকাল থেকে সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও কারও সাড়া পাননি বলে অভিযোগ, রাত আটটার পর অবশ্য তাকে দেখা হয়েছে বলে জানা গেছে। তার চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য মহাকরণের অফিসাররাও তদবির করেছেন।