কোভিড চিকিৎসা দেবেন দাঁতের ডাক্তার।
ত্রিপুরা সরকার কোভিড হাসপাতাল, কেয়ার সেন্টার, ইত্যাদির জন্য ২১ জন ডেন্টাল সার্জন ‘পিওরলি অন ভলান্টারি বেসিস’ নিয়োগ করবে, বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। তবে এই ‘স্বেচ্ছা-নিযুক্তি’-র জন্য টাকা দেয়া হবে। ৬ অক্টোবর আবেদনের শেষ দিন।
জেনারল ফিজিসিয়ান অথবা স্পেশালিষ্ট ফিজিসিয়ান বাদ দিয়ে কোভিড চিকিৎসার জন্য কেন ডেন্টাল সার্জন নিয়োগ করা হচ্ছে, বিশেষত যেখানে ত্রিপুরায় যত ডাক্তারের পদ আছে, তার অর্ধেকই খালি এবং বেকার ডাক্তারও আছেন বেশ কিছু, তার জবাব দ্য প্লুরাল কলাম পায়নি, কারণ স্বাস্থ্য অধিকর্তার ‘ কথা বলার অধিকার নেই’। অধিকার যে নেই, এই কথাটি অবশ্য ফোনে বলেছেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তি বের হয়েছে হেলথ ডিরেকটর এস দেববর্মা’র নামে। তাকেই ফোন করে জিজ্ঞেস করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ‘স্যার, আপনারা কোভিড চিকিৎসার জন্য ডেন্টাল সার্জন নিচ্ছেন কিনা’, এইটুকু শোনার পরই তিনি বলেছেন, “এসব অফিসে গিয়ে বলবেন”। এবং জানিয়েছেন, “ফোনে কী আর বলবো”, “আমার কথা বলার কোনও অধিকার নেই”।
দফতর এখন অর্ধেক কর্মী নিয়ে চলছে। একান্ত দরকার না থাকলে, বাড়ি থেকে বের না হওয়ার সাধারণ পরামর্শ রয়েছে, অনলাইনে বাচ্চাদের ক্লাস হচ্ছে, এই অবস্থায় অফিসে যেতে বলেছেন স্বাস্থ্য-কর্তা।
কিন্তু কোন্ অফিস! কে জানে!
সাংবাদিকদের সাথে কথা না বলার এই ধরন হালের। এই স্বাস্থ্য দফতরেরই আরেক অধিকর্তা একদিন বলেছিলেন, “প্রটোকল অনুযায়ী আমি কথা বলতে পারি না।”
দফতর প্রধান কথা বলতে পারেন না, এটা যেমন আশ্চর্যের, আর এই কথা না বলার কারণে সরকারি ভাষ্য লেখা যাচ্ছে না অনেক ক্ষেত্রেই।
ত্রিপুরায় এখন আড়াইশ/তিনশ মত ডাক্তার বেকার আছেন, চাইলেই তাদের পাওয়া যাবে, দ্য প্লুরাল কলাম’র সাথে আলাপে বলেছিলেন, অল গভর্নমেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন’র সাধারণ সম্পাদক ডাঃ রাজেশ চৌধুরী।
বেকার ডাক্তারদের একটি সংগঠনের সামাজিক মাধ্যমের দেয়া হিসাবে, সেই সংখ্যা চারশো।
কোভিড চিকিৎসার জন্য কিছু ডাক্তারকে চুক্তিতে নেয়া হয়েছিল। তারা সময়ে বেতন পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে।