কোভিড নিয়ে ত্রিপুরা সরকার যে চিকিৎসা-সামগ্রী কিনেছে, সেগুলির গুনমান নিয়ে দু’টি ইন্টার্নাল রিপোর্ট আছে, বিশেষত পিপিই কিট, ইত্যাদি বিষয়ে,ত্রিপুরা হাইকোর্টকে বলেছেন আইনজীবী শমিক দেব।
ত্রিপুরা হাইকোর্ট কোভিড বিষয়ে একটি স্বপ্রণোদিত জনস্বার্থ মামলা নিয়েছে। সেই মামলায় অ্যামিরাস কিউরি বা আদালত বান্ধব নিযুক্ত হয়েছেন শমিক দেব।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, যদি এরকম কোনও তদন্ত হয়ে থাকে, রিপোর্ট থাকে তবে যেন তা হলফনামায় বিস্তৃতভাবে দেয়া হয়।
জনস্বার্থ আবেদনটি নিয়ে তৃতীয় দিনের শুনানি ছিল আজ। তার আগে দুই দিন আদালত রাজ্য সরকারের কাছে বিভিন্ন বিষয় জানতে চেয়েছিল।
আদালত সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করেছে, সবাই যেন মাস্ক পড়েন, প্রশাসনের এই চেষ্টাকে সাহায্য করেন, বিশেষত বাজারের মত ভীড়-ঠাসা এলাকায় যেন এই বিষয় মেনে চলেন।
আদালতের কাছে বিভিন্ন দিনের মোট নমুনা পরীক্ষা এবং তাতে পাওয়া পজিটিভ কেস’র যে তথ্য জমা পড়েছে, তাতে পজিটিভিটির রেট গড়ে প্রতিদিন সাড়ে এগারো শতাংশের বেশি। ২১ সেপ্টেম্বর ছিল ১৫.৫২ শতাংশ।
উল্লেখ্য, জিবিপি হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি’র ডাঃ তপন মজুমদার কিছুদিন আগে বলেছিলেন যে তখনকার গত এক সপ্তাহ ধরে পজিটিভিটির হার ৯-১০ শতাংশ। দশ শতাংশের বেশি হলে কম্যুনিটি ট্রান্সমিসন’র সম্ভাবনা প্রবল।
আদালত লক্ষ করেছে, ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সাড়ে চার হাজার করে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, শুধু ১৩ সেপ্টেম্বর ছাড়া।
সম্প্রতি প্রতিদিনের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমে এসেছে, ২৪ সেপ্টেম্বরে ছিল ৩২৫৩, তার পরদিনে ৩৩২২। ২৬ সেপ্টেম্বরে আরও কমে ২৬৫২ এবং গতকালে ছিল সেই সংখ্যা ছিল ১৮১৩।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল তার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন যে রেলে কিংবা বিমানে আসা, আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে আসা সব যাত্রীদের এখন পরীক্ষা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আদালত সরকারি সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু না বললেও, বলেছে যে যেহেতু এই কারণে সরকারি পরীক্ষা পরিকাঠামো কম ব্যবহৃত হচ্ছে, এই পরিকাঠামো অন্য মানুষদের পরীক্ষার জন্য ব্যবহার কি উচিৎ নয়! তাতে রাজ্যে করোনা ভাইরাসের এখন কী অবস্থা প্রশাসন আরও ভালভাবে বুঝতে পারবে। আদালত সরকারকে এই বিষয়টি বিবেচনা করতে অনুরোধ করেছে।
তাছাড়াও আরও কিছু বিষয় উঠে এসেছে। বিষয়টি আদালতের সামনে আবার ৫ অক্টোবর আসবে।