ত্রিপুরার প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র, কোভিড সময়ের একমাত্র ডেডিকেটেড হসপিটাল, জিবিপি হাসপাতাল’র দুই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে আজ সন্ধ্যায় ক্রাইম ইনভেস্টিগেসন ডিপার্টমেন্ট ডেকে পাঠিয়েছিল।
দিন দশেক আগে একরাতে জিবিপি হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে অক্সিজেন সরবরাহের চাপ কমে গিয়েছিল এবং তা সারাই করতে বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এবং একজন বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রাতুল দে মাঝরাতে গিয়েছিলেন, হাসপাতালে চত্বরেই বলেছিলেন বিধায়ক।
পরদিন পশ্চিম ত্রিপুরার বিজেপি সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক সংবাদ সম্মেলনে সেই নিয়ে দ্বিমত জানান। ষড়যন্ত্র, ব্যাক্তিস্বার্থ, ইত্যাদি অভিযোগ আনেন।
রাতুল দে সাংবাদিকদের ডেকে কথা বলেন , এবং অক্সিজেন সরবারাহে গণ্ডগোল ছিল বলে দাবি করেন।
রাতুল, জিবিপি হাসপাতালে কতৃপক্ষের ডাকেই আগস্ট মাসে গিয়ে অক্সিজেন লাইন সারাই করে দিয়েছেন, এবং কোভিড সময়ে সেজন্য টাকাও নেননি। তখন তিনি কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন, তাতে একটি ছিল, প্রতি সপ্তাহে একবার লাইন দেখে নেয়া।
১৭ সেপ্টেম্বর জিবিপি হাসপাতালের সুপার থানায় মামলা করেন। ‘অজ্ঞাতপরিচয় দুস্কৃতীকারী’ নামে অভিযোগ হয়।
সেই ঘটনা নিয়েই দুই ডাক্তারকে, ডাঃ রাজেশ চৌধুরী, তিনি অল ত্রিপুরা গভর্নমেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েসন’র সাধারণ সম্পাদকও, এবং ডাঃ কনক চৌধুরী ক্রাইম ইনভেস্টিগেসন ব্রাঞ্চ-এ যেতে হয়েছিল।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটিও করেছে জিবিপি হাসপাতাল কতৃপক্ষ । সেখানে এই দুই ডাক্তারই তাদের বক্তব্য জানিয়েছেন। তবে তাদের বক্তব্য নাকি কমিটির রিপোর্টে নেই বলে পুলিশ আজ ডাক্তারদের জানিয়েছে, তবে এই তথ্যটি নিশ্চিত করা যায়নি।