পশ্চিম ত্রিপুরার সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক বলেছেন, জিবিপি হাসপাতালের ১৫ শতাংশ কর্মী কাজ করেন না, এবং ১৫ শতাংশ কর্মী কাজ জানেন না। সত্তর শতাংশ কর্মী নিয়ে পরিষেবা দিতে হচ্ছে। সিপিআই(এম)’র পঁচিশ বছরের শাসনে এই অবস্থা হয়েছে, পাপের বোঝা তাদের টানতে হচ্ছে, দাবি তার।
দুইদি আগে জিবিপি হাসপাতাল চত্বরে হেল্পডেস্ক চালু করেছে বিজেপি। দলীয় কর্মীরা ভেতরেও থাকবেন বলে জানা গেছে।
জিবিপি হাসপাতাল ত্রিপুরার প্রধান হাসপাতাল। সারা রাজ্য থেকে রোগী রেফার হয়ে আসেন এখানে। প্রতিমা ভৌমিক জিবিপি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি’র চেয়ারপার্সন।
এই হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, দেখা যাচ্ছে এক রোগী ছটফট করছেন, একজন স্বাস্থ্যকর্মী কিছু করছেন। সাংসদের বক্তব্য, ওই রোগী অ্যালকোহোলিক। কোভিড ওয়ার্ডে নেশা করতে না পেরে এমন হয়েছে। রোগী এখন ভাল আছেন।
জিবিপি হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসা নিয়ে অসংখ্য অভিযোগ উঠছে। রোগী এবং মৃতদের পরিবার প্রায় প্রত্যেকদিন অভিযোগ আনছেন। সংবাদমাধ্যমে সেগুলি বের হচ্ছে। অক্সিজেন না পেয়ে মৃত্যু , রক্ত না পেয়ে মৃত্যু , এমনসব গুরুতর অভিযোগ আছে। শাসক বিজেপি’র বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনও এ নিয়ে নানা অভিযোগ করেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘থাউকার উপ্রে’ চিকিৎসা চলছে। ত্রিপুরা হাইকোর্ট সংবাদমাধ্যমে বের হওয়া খবর দেখে নিজেই জনস্বার্থ আবেদন নিয়েছে। সরকারের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জবাব চেয়েছে কোভিড চিকিৎসা বিষয়ে। হাইকোর্ট সরকারি তথ্যও দেখেছে। শুক্রবারে বিষয়টির শুনানি হওয়ার কথা।
পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা শাসক একটি স্থানীয় পত্রিকাকে প্রকাশিত খবর নিয়ে নোটিশও দিয়েছে ইতিমধ্যে। পত্রিকাটি হাইকোর্টের এই মামলার বিষয় উল্লেখ করে, বিষয়টিকে ‘সাব-জুডিস’ বলেছে।