প্ৰথম খবর

ত্রিপুরার একদিনের অধিবেশনে ১০ বিল পাশ। বিরোধী সিপিআই(এম)’র ওয়াক-আউট। হাসপাতালে বেড দখলের জন্য পরিসেবার সঙ্কটের কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী।

By thepongkor

September 22, 2020

“মৃদু লক্ষনযুক্তরাও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ভগৎ সিং যুব আবাসের কোভিড কেন্দ্রে না গিয়ে জিবিপি হাসপাতালের বেড দখল করে আছেন। ফলে এই হাসপাতালে সব পরিসেবায় কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি হচ্ছে।”

ত্রিপুরায় একদিনেই শেষ হয়েছে বিধানসভার বর্ষা অধিবেশন। বিরোধীরা আলোচনার দাবি করেছিলেন। পরে ওয়াক আউট করেন।

দশটি বিল পাশ হয়েছে। তার মধ্যে আছে, ত্রিপুরা জল বোর্ড বিল, ত্রিপুরা গুডস এণ্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স ( থার্ড অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ত্রিপুরা ফিসক্যাল রেসপন্সিবিলিটি এণ্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট ( ফোর্থ অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ত্রিপুরা সিডিউলড কাস্ট এণ্ড সিডিউলড ট্রাইবস রিজার্ভেসন ( ফোর্থ অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ত্রিপুরা গ্যারান্টেড সার্ভিসেস টু সিটিজেনস বিল,ইত্যাদি ।  তাছাড়াও মন্ত্রী, চিফ হুইপ, অপজিসন লিডার, প্রমুখদের ভাতা, পেনসন নিয়ে একটি বিল পাশ হয়েছে।

বিধানসভা থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে কেন্দ্রের ফার্মার্স বিল’র প্রতি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, লকডাউন সময়ে সরকার অর্থনৈতিক সুযোগ সঙ্কুচিত করেনি। তার আশা, অন্যান্য রাজ্যের মত ত্রিপুরার জিডিপি কমবে না।

কোভিড বিষয়ে তিনি বলেছেন, জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক তৈরি করতে কায়েমি স্বার্থ, ভুল তথ্য পরিবেশনের নজির রয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হওয়া সত্বেও রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় অনীহা তৈরি হয়েছে। দেরিতে হাসপাতালে আসার জন্য মৃত্যু হার বেশি।

আবার তিনি  বলেছেন, জিবিপি হাসপাতাল নিয়ে যতই ভুল ধারনা তৈরি হোক না কেন, মানুষ জিবিপি হাসপাতালকেই ভর্তির জন্য বেছে নিচ্ছেন। এমনকী মৃদু লক্ষনযুক্তরাও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ভগৎ সিং যুব আবাসের কোভিড কেন্দ্রে না গিয়ে জিবিপি হাসপাতালের বেড দখল করে আছেন। ফলে এই হাসপাতালে সব পরিসেবায় কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি হচ্ছে।

তিনি দাবি করেছেন, ত্রিপুরাই একমাত্র রাজ্য, যেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগী চিহ্নিত করা হয়েছে।