ত্রিপুরায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, মোট ২৫,৩৫০ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৭৩ জনের।
শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই মারা গেছেন ১৭০ জন। আগস্ট মাসের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন।
ত্রিপুরায় পজিটিভিটির হার এখন দশ শতাংশের উপরেই ঘোরা-ফেরা করছে। স্বপ্রণোদিত জনস্বার্থ মামলায় ত্রিপুরা হাইকোর্টে যে তথ্য জমা পড়েছে, তাতে সেপ্টেম্বর মাসের বিভিন্ন দিনে পজিটিভিটি গড়ে ১১ শতাংশের বেশি। ২১ সেপ্টেম্বরে ১৫.৫২ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( হু) মনে করে, দশ শতাংশের বেশি পজিটিভিটি হলে কম্যুনিটি ট্রান্সমিসন ধরে নিতে হবে। বেশ কিছু দিন আগেই জিবিপি হাসপাতালের ডাঃ তপন মজুমদার এই সম্মন্ধে বলেছিলেন।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব দিন কয়েক আগেই বলেছেন, ত্রিপুরা এখন স্টেজ-টু-এ আছে।
ত্রিপুরা সরকার এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রেলে কিংবা বিমানে আসা, আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে আসা সব যাত্রীদের এখন পরীক্ষা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অ্যাডভোকেট জেনারেলই জানিয়েছেন আদালতে।
সেই এপ্রিল-মে মাসে সারা দেশে যখন কোভিড সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছিল, ত্রিপুরার অবস্থা তখন ভালই ছিল। বাইরে আটকে পড়া মানুষজন আসা শুরু হলে, প্রতি পাঁচ জনে একজনের নমুনা পরীক্ষার জন্য রেখে সবাইকেই ছেড়ে দেয়া হত, তারা যে যার নিজের মত বাড়ি ফিরেছেন।
তারপর থেকেই রাজ্যে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে যেতে থাকে। এখন আবার সিদ্ধান্ত হয়েছে, সব যাত্রীদের পরীক্ষা হচ্ছে না।
ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরায় কোভিডে মৃত্যু হার বেশ উঁচু, উত্তরপূর্বাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি। কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ দল ঘুরে গেছেন, মানুষ যেমন মাস্ক, ইত্যাদি পরার নিয়ম কম মানেন বলে তারা দেখেছেন, তেমনি ১৯ ভেন্টিলেটর ইনস্টলই হয়নি, তাও দেখেছেন। ডেথ অডিটের কোনও ব্যবস্থা ছিল না, মৃত্যুর হাজিরা খাতায় আনুসঙ্গিক অসুস্থতা, ভর্তির তারিখ তারা পাননি। তেমনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ডিউটি, তাদের ফোন নম্বরসহ ব্যবস্থা ছিল না তাদের ভিজিটের সময়।
মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় দেরিতে হাসপাতালে আসার জন্য মৃত্যুর হার বেশি বলেছেন, আবার মৃদু লক্ষণের রোগীরা জিবিপি হাসপাতালের বেড আঁকড়ে আছেন বলে পরিসেবায় কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি হচ্ছেও বলেছেন।
পরিস্থিতি গম্ভীর।