ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেছেন, ত্রিপুরা এখন স্টেজ ওয়ান পেরিয়ে স্টেজ টু-এ পৌঁছেছে কোভিড সংক্রমণের ব্যাপারে। এটা সব জায়গাতেই হয়, ত্রিপুরায় নতুন কিছু নয়। ডাক্তাররা আগেই বলেছেন, অক্টোবর পর্যন্ত সংক্রমণ বাড়বে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঠিক আছে। কিছু ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে, ভুল-ত্রুটি সব জায়গাতেই হয়, ইউরোপের দেশেও হয়েছে।
ইকোনোমিক টাইমস’র একটি সংস্করন লিখেছে, স্টেজ-টু হচ্ছে স্থানীয় সংক্রমণ’র পর্যায়। যারা বাইরে থেকে দেশে ভাইরাসটি নিয়ে এসেছেন, তাদের সাথে যারা সংস্পর্শে এসেছেন, সাধারণত পরিবারের মানুষ অথবা বন্ধু-বান্ধবরা, তাদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানো। এই পর্যায়ে সংক্রমণ ছড়ানোটা সহজেই খুঁজে বের করা যায়, এবং মানুষজনকে কোয়ারান্টিনে রাখা যায়।
কয়েকদিন আগে ত্রিপুরার প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র জিবিপি হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ডাঃ তপন মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, সপ্তাহখানেক ( তখন) ধরে পজিটিভিটি নয়-দশ শতাংশ। এভাবে চলতে গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল।
স্বাস্থ্য দফতরের দেয়া প্রতিদিনের বুলেটিনে সামগ্রিক পজিটিভিটির হার, (মানে এতদিন ধরে যত পরীক্ষা হয়েছে এবং যত পজিটিভ পাওয়া গেছে, তার নিরীখে ) বেড়েই যাচ্ছে। ৫ সেপ্টেম্বরের বুলেটিনে পজিটিভিটির হার ৪.৯৫ শতাংশ। আলাদাভাবে গত কিছুদিনের পজিটিভি হিসাব করলে, প্রতিদিন সেই মাত্রা দশ শতাংশের উপরেই থাকছে।
মৃত্যুর সংখ্যা একদিনে বেড়েছে ১০, মোট মারা গেছেন ১৪৪, মৃত্যু-হার ০.৯৯ শতাংশ। উত্তরপূর্ব ভারতে এটাই সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হার।
এই দিনে ছাড়া পেয়েছেন ২৬২ জন, সুস্থ হয়েছেন মোট ৮৭৪৫ জন, সুস্থতার হার ৬০.২৭ শতাংশ।