জিবিপি হাসপাতালের আপার ডিভিসন ক্লার্ক রণজিৎ দেব। তাকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে বদলি করা হয়েছিল ১৮ জুন। তার একমাত্র ছেলে বছর দুই আগে স্ট্রিট অক্সিডেন্টে মারাত্মক আহত হন। বয়স সতের। সেই থেকে বিছানাবন্দী। কারও সাহায্য নিয়েও চলতে পারেন না। কথা বলা এবং শোনা, দুটোতেই সমস্যা। রণজিৎ দেব এবং তার স্ত্রীকেই সব কিছু করে দিতে হয় ছেলের। সব জানিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। দফতর তার আবেদন বাতিল করে দেয়। ত্রিপুরা হাইকোর্টে যান রণজিৎ দেব। অন্যভাবে সক্ষম মানুষদের কেয়ার-গিভারের জন্য সরকারি যে গাইডলাইন আছে, ভারত সরকারের ২০১৮ সালের সেই সার্কুলার উল্লেখ করে তিনি হাইকোর্টকে জানান তার অবস্থা। প্রধান বিচারপতি আকিল কুরেশি আবেদনকারীকে বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে আবার স্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছে আবেদন করতে। পুনর্বিবেচনার দরকার আছে। প্রধান বিচারপতি মনে করেন, রণজিৎ দেব যা বলেছেন, তা যদি সব সত্যি হয়, তবে অবশ্যই বিষয়টি আবার দেখা উচিৎ। সারা জীবনের মত আবেদনকারীর ১৭ বছরের ছেলেকে বিছানাবন্দী করে দিয়েছে মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনা। এই সন্তানের দেখভাল করা পরিবারের কথা সভানুভূতির সাথে বিবেচনা করা উচিৎ। তবে এটাও নয়, এই আইনি এবং সহানুভূতি বিষয়ের চেয়েও বড় এমন কোনও প্রশাসনিক দরকার হলেও এই বদলি আটকে দিতে হবে। কিন্তু এই রকম ক্ষেত্রে, আবেদনকারীর পোস্টিং আগরতলায় আর কেন দেয়া যাচ্ছে না, এই শহরের বাইরেই পাঠিয়ে দিতে হচ্ছে, তার জন্য শক্ত কোনও কারণ থাকতে হবে। বিষয়টি বিবেচনা করার সময় কতৃপক্ষ দেখতে পারেন, তাকে এজিএমসি এণ্ড জিবিপি হসপিটাল-এ রাখা না গেলেও, আগরতলায় অন্য কোথাও দেয়া যায় কিনা, বলেছেন বিচারপতি। আদালত বলেছে, স্বাস্থ্য দফতর দুই সপ্তাহের মধ্যে আবেদনের সমাধান করবে।