তারপর

লকডাউনে কাজ হারানো যুবকেরা ঝুঁকছেন সন্ত্রাসবাদের দিকে। এনএলএফটিকে চাঙ্গা করতে চাইছেন পরিমল।

By thepongkor

September 21, 2020

অতিমারিতে কাজ হারানো যুবকেরা সন্ত্রাসবাদী দলে নাম লেখাচ্ছেন। ভারতে কোভিড লকডাউন নিরাপত্তা সংস্থাগুলির কাছে বাড়তি দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তরপূর্ব ভারতে ইউনাউটেড লিবারেসন ফ্রন্ট অব আসাম ( উলফা) এবং এমনতর নিষিদ্ধ দলে যুবকেরা ভিড়ছেন বলে  খবর।

মায়নমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির হাতে চিনা অস্ত্র আসছে বলে খবর। এই সব সংগঠনের সাথে উত্তরপূর্বের সন্ত্রাসীদলগুলির যোগাযোগ যথেষ্ট।

জাতীয় স্তরের নিরাপত্তা সংস্থায় থাকা আধিকারিকদের থেকেই এই খবর পাওয়া গেছে, তবে সরকারি নিয়মের কারণে তারা নিজেদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

 

মায়নামারের আরাকান আর্মি ভারতের উত্তরপূর্বের সন্ত্রাসীদলগুলির প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী, তাদের হাতে সম্প্রতি বেশ অস্ত্র-শস্ত্র এসেছে।

আরাকান আর্মি , ভারতের কালাদান প্রকল্পের বিরোধী। কালাদান প্রজেক্ট শেষ হলে মায়নামারের একটি বন্দর দিয়ে মিজোরামের জন্য জলপথ খুলে যাবে। আরাকান আর্মি অবশ্য চিন-মায়ানমার ইকনমিক করিডরের বিরোধী নয়।

 

ভারত-মায়ানমার সীমান্ত অঞ্চলে কোভিড লকডাউনে কাজ হারানো যুবকরা সন্ত্রাসাবাদী দলগুলির কাছে সহজ লক্ষ্য হয়ে উঠছেন, সরকারকে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি জানিয়েছে। আরাকান আর্মির হাতে থাকা অস্ত্র উত্তরপূর্ব ভারতে আপাতভাবে ঝিমিয়ে থাকা সন্ত্রাসবাদী দলগুলির হাতেও  পৌঁছে যাচ্ছে।

“ নতুন অস্ত্র এইসব সন্ত্রাসবাদী দলগুলির ক্ষমতা বাড়াচ্ছে, অতিমারিতে কাজ হারানো যুবকেরা নাম লেখাচ্ছেন সেসব দলে,” বলেছেন এক আধিকারিক।

নতুন অস্ত্র এবং ক্যাডার পেয়ে এনএসসিএন ( খাপলাঙ) দল ভারত-মায়ানমার সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠছে, নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর আক্রমণের ছক কাটছে।

২০১৬ সালে এই সন্ত্রাসবাদী দল ১৮ সেনা জওয়ানকে খুন করেছিল, তারপর অবশ্য ভারতীয় সেনা মায়নমারে ঢুকে অপারেসন চালিয়েছিল।

নাগা সন্ত্রাসবাদীদলগুলির সাথে সরকার শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে, যদিও নরেন্দ্র মোদি সরকার একটি গোষ্ঠির সাথে সমঝোতা করে শান্তি ফিরে আসছে বলেছিল  কয়েক বছর আগে।

আসামের কার্বি পিপলস লিবারেসন টাইগার ১০-১৫ জন যুবককে দলে ভর্তি করিয়েছে সম্প্রতি। মেঘালয় থেকে উলফা ১৫-২০ জনকে দলে টেনেছে । জানাচ্ছে সেনা সূত্র।

বাংলাদেশের খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরার বেশ কিছু যুবক এনএলএফটিতে যোগ দিয়ে প্রাথমিক ট্রেনিঙও সেরে নিয়েছেন বলে গোয়েন্দা তথ্য। এনএলএফটি’র পরিমল দেববর্মা আবার দলকে চাঙ্গা করতে চাইছেন। তারা এখন ত্রিপুরায় ঢুকতে চাইছেন।

সন্ত্রাসবাদী কাজের জন্য মায়ানমার সীমান্ত ঝুঁকিপূর্ণ , এখন সেই সীমান্ত অঞ্চলে ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।

“ মায়ানমারে অনেক সন্ত্রাসবাদী দল ঘাপটি মেরে আছে। অরুনাচল প্রদেশের তিরাপ, লঙডিঙ এবং চাঙলাঙ দিয়ে তারা এখন ঢুকতে চাইছেন। নাগাল্যান্ডের মন জেলা এবং আসামের চাইরদেও জেলায়ও তারা ঢোকার চেষ্টায় আছেন,” বলেছে গোয়েন্দা সূত্র।

 

সুমিত কুমার সিং। আইএএনএস ।