প্ৰথম খবর

সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু এবং অন্যান্য

By Master

September 03, 2020

দক্ষিণ ত্রিপুরার ঋষ্যমুখে সাপের কামড়ে নয় মাসের একটি শিশু মারা গেছে। মতাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল না। বিলোনিয়া হাসপাতালে আনার কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায় শিশুটি। বাবা সুব্রত ভৌমিক বলেছেন, তার ছেলে ঘুমিয়ে ছিল, তখনই সাপ কামড়েছে, কান্নার শব্দ শুনে ঘরে ঢুকতে গিয়ে একটি সাপকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে দেখেছেন তিনি।

কয়েক বছর আগে বিলোনিয়ারই রাজনগর এলাকার এক কিশোর সাপের কামড়ে মারা গিয়েছিল, এই স্থানীয় হাসপাতালে এন্টিভেনম ওষুধ ছিল না। কাছাকাছি সময়ে আগরতলাও একজন মারা গিয়েছিলেন। তখন প্রতি স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই এন্টিভেনম রাখা শুরু হয়েছিল। মতাইয়ে কেন চিকিৎসা হল না আজ শিশুটির, তার কারণ বিলোনিয়ার এসডিএমও ডাঃ কমল কলইও নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি, তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল। মাতাই, ইত্যাদিতে আগে এন্টিভেনম ছিল, কিন্তু এখন আছে কিনা, তিনি খোঁজ না নিয়ে বলতে পারবেন না। বিলোনিয়া হাসপাতালে শিশুটিকে এন্টিভেনম, ইত্যাদি দিয়ে চিকিৎসা করা যায়নি, কারণ প্রায় ‘ব্রট ডেড’ অবস্থা, তিনি বলেছেন।

সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়ার কালাপাইন্যা এলাকার একবছরে এক শিশু মেলাঘর থেকে আগরতলার আইজিএম হাসপাতালে আনার সময় পথে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা গেছে। বাবা জামাল হুসেনের বক্তব্য, সোনামুড়া হাসপাতালে করোনার কারণে সেখান থেকে তাদের মেলাঘর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখান থেকে আইজিএম হাসপাতালে রেফার করে দেয়া হয়। অ্যাম্বুলেন্সের কারণে অনেক সময় চিকিৎসা ছাড়াই তারা বসে ছিলেন মেলাঘরে। রাস্তায় বাচ্চাটির অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়ে, বিশালগড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, ডাক্তাররা মারা গেছেন বলেন। বিশালগড়ের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ জে এম দাস বলেছেন, শিশুটি ‘ব্রট ডেড’ ছিল, পোস্টমর্টেমেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। বিশালগড় থেকে আবার মেলাঘরের পাঠানো হয়েছে, বিশালগড়ে পোস্টমর্টেম করাতে রাজি ছিলেন না পরিবার।

কৈলাশহরে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে ৬৭ বছরের একজনের মৃত্যুর পর, তার মেয়ের অভিযোগ, করোনা পজিটিভ হওয়ার বারটা থেকে তিনটা পর্যন্ত মারা যাওয়ার আগে তিনি কোনও চিকিৎসা পাননি।

যিনি মারা গেছেন, তিনি সম্প্রতি আরেকটি হাসপাতালে দিন চারেক ভর্তি ছিলেন, আবার শরীর খারাপ হওয়ায় জেলা হাসপাতালে এসেছিলেন।

দুই সেপ্টেম্বর মারা গেলেও তিন সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেহ মর্গেই ছিল, দেহ সৎকার নিয়ে জটিলতার কারণে।