অল ত্রিপুরা ভিক্টিমাইজড টেন থাউস্যান্ড থ্রি হান্ড্রেড ট্যুয়েন্টি থ্রি টিচার্চ অ্যাসোসিয়েসন’র (এটিভিটিএ) ডাকে ‘১০৩২৩’ শিক্ষকদের একটা অংশ বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার’র বাড়ি ঘেরাও করেছেন আজ।
এই সংগঠন এখনকার বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারকে অভিনন্দন এবং আগের বামফ্রন্ট সরকারকে ধিক্কার জানাতে র্যালির ডাক দিয়েছিল।
রাজ্য সরকারের শিক্ষা ও আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ ২২ সেপ্টেম্বর চাকরি নিয়ে কিছু ঘোষণা দিয়েছেন। বলেছেন, মন্ত্রীসভা অনুমোদন করবে অর্থ দফতর থেকে আসা প্রস্তাব। অর্থ দফতর বলেছে, সরকারের আর্থিক অবস্থায় টানাটানি আছে, তাই বছরে কতজনকে চাকরি দেয়া হবে, তার সংখ্যা সীমিত রাখা হোক। মন্ত্রী বলেছেন, ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে যেসমস্ত শূন্যপদ চিহ্নিত হয়েছে বিভিন্ন দফতরে, সেগুলিতে।
এই নিয়োগ ‘১০৩২৩’ শিক্ষকদের জন্য শুধুই নয়। সেসব পদের জন্য অন্যরাও পরীক্ষা দিতে পারবেন, সেখানে যারা টিকবেন তারা প্রাথমিকভাবে ফিক্সড পে-তে বেতন পাবেন। ‘১০৩২৩’ শিক্ষকরা ২০২৩’র মার্চ পর্যন্ত বয়সের ছাড় পাবেন। সেসব গ্রুপ-সি ও ডি পদে শিক্ষকরা চাকরি না পেলে আউটসোর্সিং’র ব্যবস্থা হবে।
বামফ্রন্ট আমলেই এই শিক্ষকরা চাকরি পেয়েছিলেন, সেই আমলেই তাদের চাকরি আদালতের রায়ে খারিজ হয়। পরে চুক্তিবদ্ধ হিসেবে গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত তারা কাজে ছিলেন।
‘১০৩২৩’ শিক্ষকদের নানা সংগঠন আছে, তার মধ্যে অন্তত তিনটি সরকারের সিদ্ধান্তে খুশি নয়, এটিভিটিএ সরকারের সিদ্ধান্তের পক্ষে।
তাদের সমস্যার সমাধান হয়েছে ধরে নিয়েই অভিনন্দন। অবশ্য বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার’র কোয়ার্টার ঘেরাও’র সময়, ‘গরীব, মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর অন্ন ফিরিয়ে দিন’ লেখা পোস্টার গলায় ঝুলিয়েছেন এই অংশের শিক্ষকরা।
২৩ সেপ্টেম্বর ‘১০৩২৩’ শিক্ষকদের তিনটি সংগঠন মহাকরণ অভিযানে গিয়েছিল। মহাকরণ যাবার রাস্তায় তাদের পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। জল কামান চলেছে জমায়েতে। শিক্ষিকার গায়েও লাঠি পড়েছে। মামলাও হয়েছে।
বিজেপি ২০১৮ নির্বাচনের আগে তাদের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আইন সংশোধনের কথাও বলেছিল।
এটিভিটিএ অর্ডিন্যান্স এনে এই চাকরি বাঁচানো যায়, ‘ভেলিডেসন অ্যাক্ট’ দিয়ে বাঁচানো যায়, এমনকী এই সংগঠনের নেতা অরবিন্দ শর্মা ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে দিল্লি থেকে ফিরে এসে বলেছিলেন, আইন মন্ত্রকে ফাইল চলে গেছে, সংসদে তাদের বিষয়টি উঠবে। ‘ভ্যালিডেসন অ্যাক্ট’র কথা, তারা এই বছরেও বলেছেন। দ্য প্লুরাল কলাম একাধিকবার চেষ্টা করেও এই সংগঠনের সাথে কথা বলতে পারেনি ফোনে।
জল কামান কিংবা লাঠি আজ অবশ্য চলেনি। পুলিশের ভূমিকা সংযত এই ক্ষেত্রে।
শিক্ষকদের মিছিলের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘…. প্রাক্তন ‘মূখ্যমন্ত্রীর’ শাস্তি চাই। ‘