ত্রিপুরায় চারটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। তিনটিই দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায়। একটি পশ্চিম জেলার মোহনপুরে।
সকালে এক টিএসআর জওয়ানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। গতকাল এক বধূ মারা গেছেন। অভিযোগ, তাকে খুন করা হয়েছে। আরেকজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে জলে। আগরতলার জিবিপি হাসপাতালে একজন মারা গেছেন গতরাতে,বিষ খেয়ে আত্মহত্যার ঘটনা বলে খবর। টিএসআর নবম ব্যাটালিয়নের জওয়ান, মনোজ মালাকার, শান্তিরবাজারের সাঁচিরামবাড়িতে থাকা ব্যাটালিয়নের হেড কোয়ার্টারে তার দেহ উদ্ধার হয়। তিনি বিলোনিয়া মহকুমার রাজনগর এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে যান সাঁচিরামবাড়ির টিএসআর ক্যাম্পে। ঘটনাস্থলে যান ডিসিএম রুদ্রদীপ নাথ ও অন্যান্যরা। আনা হয় ডগ স্কোয়াড। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জোলাইবাড়ি সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। মনোজ মালাকার বিলোনিয়ায় ছিলেন, কিছুদিন আগে সাঁচিরামবাড়িতে তাকে ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছিল। বিলোনীয়ার ভারতচন্দ্র নগরে টুম্পা দেবনাথ খুন হয়েছেন। অভিযোগ, স্বামী তাকে গলা টিপে খুন করেছেন। স্বামী মানিক দাস পালিয়ে গেছেন। মানিক দাসের বাবা, সুভাষ দাস নিজেই পুত্রবধূকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, তাদের স্বামী-স্ত্রী-র প্রায়ই ঝগড়া হত। গত বিকালে দু’জনের ঝগড়া হয়। সে সময় বাড়ির অন্যরা অন্যদিকে ছিলেন। পরে দেখতে পান, পড়ে আছে টুম্পার দেহ। বাড়ির লোকজন নিয়ে যান হাসপাতালে। সাত বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল। স্বামী কিছুদিন আগে, লকডাউনের সময়ে কুয়েত থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। হাসপাতালে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। টুম্পার মৃতদেহ বিলোনিয়া হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। বিলোনিয়া থানার পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। মানিক দাস এখনও পালিয়ে আছেন। পুকুরে স্নান করতে গিয়ে বিদ্যুৎ লেগে মারা গেছেন আটত্রিশ বছরের বলরাম দেবনাথ । বিলোনিয়ায় মনুরমুখের রামনগর এলাকায় এই ঘটনা গত সকালের। প্রতিদিন সবার আগে ঘুম থেকে উঠে, স্নান সেরে পূজা দিতেন বলরাম। গতকালও স্নান করতে যান বাড়ির পুকুরে। অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলে, বাড়ির লোকজন পুকুরে এসে দেখতে পান তার দেহ। সাথে সাথে বিলোনিয়া হাসপাতাল তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেয়। বড়ভাই অর্জুন দেবনাথ বলেছেন , পুকুর-পাড়ে বাল্ব লাগানো ছিল । রাতেই হয়ত বিদ্যুৎ পরিবাহী ছিঁড়ে পড়েছে জলে, তাতেই মারা গেছেন ছোটভাই। পশ্চিম জেলার মোহনপুরের তারানগর থেকে নন্দদুলাল দেবনাথ নামে একজনকে আনা হয় জিবিপি হাসপাতালে। হাসপাতালে তিনি মারা যান। এটিও অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে জানা গেছে।
২৭ তারিখেও এক সদ্যজাতের দেহসহ পাঁচজন মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিলেন, কেউ রাস্তার পাশে, কেউ নদীতে, কেউ কৃষিজমিতে।