প্ৰথম খবর

ত্রিপুরায় আবার আক্রান্ত সাংবাদিক

By thepongkor

October 10, 2020

কোভিড সময়ে ত্রিপুরায় সাংবাদিকদের আক্রমণের ঘটনা হচ্ছে নিয়মিত। ভাইরাসের আক্রমণের মাঝেই দুস্কৃতীকারীরা সাংবাদিকদের আক্রমণ করে যাচ্ছে।

“ কুমারঘাটে দৈনিক সংবাদ পত্রের সাংবাদিক তপন বনিকের বাড়িতে গিয়ে শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ একদল দুবৃত্ত হুমকি দেয়। ঠেকাদার আকাশ করের নেতৃত্বে একদল দুবৃত্ত তার বাড়িতে চড়াও হয়।তাকে মারতে উদ্যত হয়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে আগরতলা প্রেসক্লাব। অবিলম্বে দুবৃত্তদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছে আগরতলা প্রেসক্লাব,” বিবৃতি দিয়ে বলেছে আগরতলা প্রেসক্লাব।

 

ত্রিপুরা জার্নালিস্ট ইউনিয়নও একই বিবৃতি দিয়েছে।

 

ত্রিপুরা ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েসন বিবৃতি দিয়ে বলেছে, “ জনৈক ঠিকেদার ও ইঞ্জিনিয়ারের যোগসাজসে এই হামলার ঘটনাটি হয়েছে। সাংবাদিক তপন বনিকের মা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সকলেই বর্তমানে বাড়িতে কোয়ারান্টিনে  রয়েছেন। রাতের আঁধারে তাকে বাড়ির গেইটের সামনে কথা বলবে বলে ডেকে নিয়ে আসে। আচমকাই গেট ধাক্কা দিয়ে অপর দিক থেকে তার ওপর আক্রমণ চালায় দুস্কৃতীকারীরা। ফটিকরায় স্কুলের ল্যাবরেটরির একটি কাজ নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীবনিক আরডি’র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু ভৌমিকের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে ছিলেন। ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলার ১০ মিনিটের মধ্যেই এই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকেদার আকাশ কর শ্রীবনিককে ফোন করে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। যথারীতি এদিন দলবল নিয়ে এসে রাতের আঁধারে বাড়ির গেট ভাঙচুর করে গেটের অপর পাশ থেকে তার ওপর আক্রমণ চালান। কোনোরকমে শ্রীবনিক বাড়ির ভেতরে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। বাড়িতে কোয়ারান্টিনে থাকা অন্যরা তখন ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। এই হামলার সাথে যুক্ত রয়েছেন আরডি’র ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু ভৌমিকও।

সাংবাদিক তপন বনিককে হুমকি দেয়া হচ্ছে, এই খবর পেয়ে অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস-র একটি প্রতিনিধি দল তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই হামলার ঘটনা ঘটেছে।“

অ্যাসোসিয়েসন ঠেকাদার আকাশ কর এবং ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু ভৌমিককে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছে।

 

সম্প্রতি মুখমন্ত্রীর করা একটি মন্তব্যে আপত্তি জানিয়ে অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়াকে চিঠি দিয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ইদানিংকালে অন্তত ছয়জন সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন। পুলিশে অভিযোগ জানালেও গ্রেফতার নেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে বিজেপি কর্মী/সমর্থক অভিযুক্ত।

 

আমবাসায় স্যন্দন পত্রিকা প্রতিনিধি কোভিডমুক্ত হয়ে যেদিন বাড়িতে ফিরেছিলেন, সেদিনই আক্রমণের মুখে পড়েন। হাসপাতালে ভর্তি থেকে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।