ত্রিপুরা ম্যাডিক্যাল কলেজ থেকে এখন এমবিবিএস ডাক্তার হয়ে আসতে সাড়ে চুয়ান্ন লাখ টাকার বেশি লাগতে পারে । বেড়েছে ১৪ লাখের বেশি।
পার্মানেন্ট অ্যাডমিসন কমিটি নতুন ফি ঠিক করেছে।
আবার ফি বেড়েছে। ২০১৮ সালে একবার বেড়েছিল, মাঝে একবার বাদ, আবার বাড়ল। এইবার যারা ভর্তি হবেন, তাদের সাড়ে চুয়ান্ন লাখ টাকা দিতে হবে।
২০১৮-১৯ শিক্ষা বছরের আগে ফি ছিল ২০.১৭ লাখ টাকা।
বিজেপি ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এসেছে আড়াই বছর, ফি বাড়ল দু’বার।
বিজেপি সরকারে আসার পর প্রথমবার ফি বাড়ানোর সময় বিষয়টি বিধানসভায় উঠেছিল। বিরোধী সিপিআই(এম) আপত্তি করেছিল। তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সুদীপ রায় বর্মন। সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছিল, বিধানসভায় বলা হয়েছে, নীট পরীক্ষায় নির্বাচিত হওয়া ত্রিপুরার কেউ টাকার জন্য পড়তে পারবেন না, এমনটা হবে না। প্রয়োজনে সরকার কলেজকে পুষিয়ে দেবে। সিপিআই(এম) বিধায়ক সুধন দাসের নোটিশের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রতিটি প্রাইভেট ম্যাডিকেল কলেজকে অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্টের কোনও বিচারপতির তত্বাবধানে ফি নিয়ে কমিটি করতে হবে। ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ কোনও ব্যাতিক্রম নয়। ছাত্র সংগঠনগুলি আন্দোলন করছে, সরকার যেন ফি বাড়াতে কলেজটির পরিচালক সোসাইটিকে না করেন, বলেছিলেন সুধন। কোনও আন্দোলনে আর কোনও ফল হবে না। অন্দোলনের পুরোনো কৌশল ছেড়ে উন্নয়নে হাত দিন। আন্দোলন নেতিবাচক মনোভাবের প্রতিফলন, বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ফি বাড়ার বিষয়ে ছাত্র সংগঠনের সুর এবারও শোনা যাচ্ছে। বামপন্থী ছাত্র সংগঠন, এসএফআই’র ত্রিপুরা সম্পাদক সন্দীপন দেব বলেছেন, “জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের যাত্রাপথে লাল কার্পেট বিছিয়ে দিয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যে জোট শাসনে ডাক্তারী পড়াশোনার খরচ এখন আকাশছোঁয়া। টিএমসিতে পড়তে এখন সাড়ে চুয়ান্ন লাখ টাকা দিতে হবে।এমবিবিএস কোর্সে লাগামহীন এই ফি বিরুদ্ধে সকলকে গর্জে উঠতে হবে। রাজ্যের বিজেপি – আইপিএফটি জোট সরকারকে ধিক্কার জানাই।”
এনএসইউআই’র ত্রিপুরার সহ-সভাপতি সম্রাট রায়, ফি বাড়ানোর বিরোধিতা করেছেন। তারা এই নিয়ে আন্দোলনে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
আন্দোলনে যাচ্ছে এসএফআইও।
ত্রিপুরায় আরেকটি মেডিক্যাল কলেজ আছে, সরকারের পরিচালনায়, আগরতলা গভর্নমেন্ট ম্যাডিকেল কলেজ। সেখানে পড়তে দিতে হয়, বছরে সোয়া একলাখের মত।
পশ্চিম ত্রিপুরার সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক, লোকসভায় কয়েকদিন আগে টিএমসি-কে অধিগ্রহণ করে কেন্দ্র যেন একটি এআইআইএমএস’র মত হাসপাতাল গড়ে তুলে, তার জন্য বলেছেন। সেখানে সব পরিকাঠামো এবং জমি আছে বলেছেন। টিএমসি, ‘গভর্নমেন্ট আন্ডারটেকিং’-এ আছেন বলে উল্লেখ করেছেন।