রাষ্ট্র এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি ‘যৌনদাস’ ব্যবস্থা আর থাকছে না। হাজার হাজার কোটি টাকার এই ‘ইন্ডাস্ট্রি’ তাই এখনও সটানেই আছে।
এখানে ‘কর্মী’ শরীর বন্ধক দেন। শ্রমিক মাত্রেই শরীরের বন্ধকি কারবার। এই কর্মীদের শরীরই ‘এন্ড প্রোডাক্ট’। শ্রমিকদের শরীর অন্য পেশায় খেটে পণ্য তৈরি করে দেয়, মজুরিতে হয়ত সেই শরীরের দেখভাল, পরিবারের শরীরে পুষ্টি জোগায় না, আর এই কর্মীদের পণ্য-শরীরেরও মালিকানা নিজের না।
কোভিড কালে কেমন আছে পণ্য-শরীরের পেট, ক্ষুধা! সামাজিক স্বীকৃতিহীন শ্রমিকরা! শ্রম-আইনের কোনও ধারায় না আসা কর্মীরা! পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বাবা-পরিচয়হীন সন্ততিরা! সামাজিকতার নামে চলা খোলসের বাইরে থাকা তারা!
কোভিড সময়ে ভদ্রপল্লীর বাবুদের ‘বেশ্যাপল্লীতে’ আসতে ভয়! ‘একটা-দুটো’ ভয়ে ভয়ে আসে! ‘তাবায়েফ’ আর ‘বেশ্যা’, সূক্ষচারু পার্থক্য কলায় শায়েরী আর গাঁথা আউড়ে পেটে ভাত আসে না। ‘ব্রথেল’ শব্দে ‘বেশ্যা’ কথাটি পাশকাটিয়ে সমাজ, ‘ক্লাবের’ সাহায্যে প্রাণ বেঁচে যাওয়া কয়েকজনের কথায় এই প্রতিবেদন।
স্মার্টফোন নেই সবার, পড়াশোনা হচ্ছে না তাদের।
শরীর-পণ্য করেই মেয়েকে গ্র্যাজুয়েট করে বিয়ে দেয়ার সিলভার-লাইন চমকে দেয়ার বেশি কিছু নয়।
‘আই অ্যাম বিপাশা, আই কেম ফ্রম দিল্লি। আই অ্যাম লিভিং ইন দিস প্লেস ওনলি।”
ইংলিশ! ইংরাজি এখানে ‘নিষিদ্ধ’ সুড়সুড়ি, ‘ভদ্রঘরের নাকি?”, ” কী করে শরীর দেখাতে আসা?”, এইসব
দিল্লি থেকে হেঁটে হেঁটে পাটনা পাড়ি দেয়া শ্রমিকের গল্প এটি নয়, কোঠায় বন্ধ না-রোজগারির কথা।
‘নিষিদ্ধপল্লী’কে এখনও তুলে না দেয়ার পুরানো হিসাব।
কলকতার দুই ‘রেড লাইট এরিয়া’ থেকে তুলে আনা একটি স্যানপড ফিচার। ভিডিও সামাজিক কর্মী রাতুল’র সৌজন্যে। ফিচারের শেষ ভিডিও ক্লিপে কালীঘাট সত্যনারায়ণ সমিতি’র নেত্রীর বক্তব্য। তারা যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করেন।
COMMENTS