আগামীকাল আগরতলায় আসছেন সুদীপ সরকার। তিনি আসবেন কফিনে। ভোর রাতে কাশ্মীরে জঙ্গীদের সঙ্গে লড়াইয়ে মারা গেছেন ত্রিপুরার ছেলে সুদীপ।
কাজ করতেন বিএসএফের ১৬৯ ব্যাটালিয়নে। পোস্টিং ছিল কাশ্মীরে।
বড় ভাই দীপঙ্কর সরকার বলেছেন, আগামী বছর চাকরি থেকে অবসর নেবার কথা ছিল ভাইয়ের। ২০ বছর সার্ভিস শেষ হতো সামনের বছর। তাই আগরতলাতে জায়গা কিনেছিলেন। বাড়ি করবেন ঠিক ছিল।
তার আগেই রবিবার সকালে ফোনে আসে খারাপ খবর। গতরাতে শহীদ হয়েছেন ভাই। সুদীপের স্ত্রী এবং দুই মেয়ে আছেন। তারা থাকেন পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে। সেখানে ভাড়া থাকেন তারা। একটা সময় সুদীপ সরকারের পোস্টিং ছিল কোচবিহার। তখন স্ত্রী এবং দুই মেয়ে সেখানে চলে যান। বলছিলেন দীপঙ্কর।
আগরতলার ধলেশ্বরে তাদের বাড়ি। এ বাড়িতে মা, দাদা বউদি আছেন। কাশ্মীরে থাকার কারণে সব সময় ফোনে যোগাযোগ করা যেত না। শেষ কথা হয়েছিল গত পরশু। মায়ের এবং বৌদির সঙ্গে।
বাড়িতে কান্নার রোল। পাড়া প্রতিবেশিরা আসছেন সবাই। ঘরের ছেলের এমন হটাৎ করে চলে যাওয়া কেউই মেনে নিতে পারছেন না। মা অঝোরে কাঁদছেন।
সুদীপ সরকারের সাথে এক সেনা আধিকারিকসহ নিরাপত্তা বাহিনীর তিনজন মারা গেছেন। সেনার গুলিতে নিহত সন্দেহভাজন তিন অনুপ্রবেশকারী।