বছর কুড়ি আগে যখন সুনামিতে তছনছ হয়ে যাচ্ছিল ভারত মহাসাগরের উপকূল। ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা থেকে মাত্রা ছাড়িয়ে ভেসে যাচ্ছিলেন মানুষ, ঘর-বাড়ি, জনপদ। চড়চড় করে বাড়ছিল স্টক এযচেঞ্জের সূচক, শেয়ার বাজারে ভরা জোয়ার, মুনাফার চোখ চকচক ।
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট গোণার প্রথম দিকেই , ফলাফলের সাথেই যে খবর মোটা হয়ে এসেছে, সেটা স্টক মার্কেট’র খবর। মুনাফার হিসাব খুব সরাসরি এই নির্বাচনের সাথে।
‘অব কি বার ‘ ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন , না এখনকার আমেরিকার রাষ্ট্রপতি , রিপাব্লিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প, মুনাফার হিসাবে কতটা হেরফের, মোটামুটি এটাই তারাহুড়ো, অন্তত আমেরিকার বাইরে আগ্রহ এই। আমেরিকাতেও তার খুব বেশি একটা রকমফের নেই, সাধারণ ভোটারদের অন্যকথা থাকতেই পারে, আছেও, তাতে বাজার মাত করার কিছু নেই। বরঞ্চ বাজারই সাধারণদের মাত করার জন্য খেলে যায়। সহমত উৎপাদন করে, কনসেন্ট ম্যানুফেকাচারিং !
ভারতেও এই নির্বাচন নিয়ে ইন্টারনেট টেপা ‘শিক্ষিত’ মানুষ হুশহাশ করছেন, দীর্ঘ গণনা প্রক্রিয়ার বিরক্ত হচ্ছেন। যার যার পছন্দের পক্ষও আছে। স্বপ্নের অলস সেলসম্যানরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সমীকরণে বুঁদ !
কৃষক কেন আত্মহত্যা করছেন, পিঁয়াজের দাম পাঁচ বছরে একশ শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে, বেকারত্বের সূচক বাড়ছেই, ক্ষুধার ঠিকানায় ধাপ ধাপ করে নামছে চারপাশের সমাজ, বিরোধের কথা কেন ‘দেশদ্রোহ’, এই প্রশ্নের জবাব বাইডেন-ট্রাম্প কেউই দেবেন না, যদিও তাদের ব্যবস্থায় তার জাবাব আছে।
ব্যবস্থায় ডুবে থেকে সাঁতার না দেয়াই আত্মহত্যা !
শেষ খবরে ড্যামোক্রেট জো বাইডেন, আগে পিছিয়ে ছিলেন এমন দুই জায়গায় এখন এগিয়ে গেছেন, পেনসেল্ভানিয়া, জর্জিয়া, আর নেভাদায় আগেও এগিয়ে ছিলেন, এখনও আছেন।ডোনাল্ড ট্রাম্প পিছিয়ে যাচ্ছেন, বাইডেন রাষ্ট্রপতি হওয়ার থেকে সামান্যই দূরে।
১৯৯২ সালের পর এখনও আমেরিকায় কোনও ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি হারেননি। ১৯৬০ থেকে ওহিও নামে একটি আমেরিকার রাজ্যে তিনিই জিতেছেন, যিনি রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। এবার সেখানে ট্রাম্প জিতেছেন, যদি হেরে যান রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে, সেটা ষাট বছরে প্রথম ।